
ছবিঃ সংগৃহীত
আমাদের বয়স যতই হোক না কেন, মানসিক বা আবেগগত পরিপক্বতা সহজে আসে না। তবে কিছু ছোট, কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ আচরণ দেখে বোঝা যায়, কেউ অনেকটাই পরিণত হয়ে উঠেছেন। নিচে এমন কিছু আচরণের কথা বলা হলো যা বুঝিয়ে দেয় কেউ একজন আবেগের দিক থেকে অনেক পরিপক্ব।
নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নিজে নেওয়া
অন্যকে দোষ না দিয়ে আপনি বোঝেন, নিজের প্রতিক্রিয়ার দায় নিজেকেই নিতে হয়।
অন্য কারো সীমারেখা বা বাউন্ডারির সম্মান করা
নিজের সময়, শক্তি ও আবেগের ভারসাম্য বজায় রাখতে না বলতে শেখা এবং অন্যের ব্যক্তিগত পরিসর মেনে চলা।
সমস্যা এড়িয়ে না গিয়ে তা নিয়ে চিন্তা করা
আপনি সমস্যা থেকে পালিয়ে না গিয়ে, শান্তভাবে তার মূলে পৌঁছাতে চেষ্টা করেন।
সচেতনভাবে কথা বলা ও শোনা
আপনি কথা বলার আগে ভাবেন, অপরের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব দেন।
ফিডব্যাক গ্রহণে খোলামেলা মনোভাব
আপনাকে কেউ কিছু বললে আপনি আত্মরক্ষামূলক না হয়ে, শোনেন এবং শেখার চেষ্টা করেন।
স্বাধীনতা ও সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখা
আপনি নিজের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, আবার প্রয়োজন হলে সাহায্য চাইতেও দ্বিধা করেন না।
নিজের বিশ্বাস ও চিন্তাধারা নিয়ে ভাবনা-পর্যালোচনা করা
আপনি পুরোনো ধারণা ভেঙে নতুনভাবে ভাবতে প্রস্তুত—এটাই মানসিক পরিপক্বতার পরিচায়ক।
নীরবতা ও একাকিত্বকে উপভোগ করা
সব সময় কিছু না বলেও আপনি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন—এটাই বোঝায়, আপনি নিজেকে নিয়ে শান্তিতে আছেন।
আবেগগত পরিপক্বতা মানে শুধু বড় হয়ে যাওয়া নয়, বরং নিজের আবেগ বোঝা, নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং অন্যদের প্রতি সহানুভূতিশীল থাকা। এই ছোট ছোট আচরণগুলোই দেখিয়ে দেয়, আপনি অনেক এগিয়ে।
সূত্রঃ ডেইলী মোটিভেশন নিউজ
আরশি