
আমলকি, বাংলাদেশের ঘরোয়া খাদ্য তালিকায় বহুল পরিচিত একটি ফল, যেটি প্রাকৃতিক ‘সুপারফুড’ হিসেবেও পরিচিত। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। বিশেষজ্ঞদের মতে, টানা ১৫ দিন প্রতিদিন আমলকির জুস পান করলে শরীরের অভ্যন্তরীণ নানা উন্নতি চোখে পড়ার মতো হতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
আমলকির অন্যতম গুণ হল এর ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করার ক্ষমতা। এতে থাকা উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি ঠান্ডা, কাশি ও নানা সংক্রমণ থেকে শরীরকে সুরক্ষা দেয়।
হজমে সহায়তা ও পরিপাকতন্ত্রের উন্নতি
নিয়মিত আমলকির রস সেবনে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এতে থাকা প্রাকৃতিক ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং গ্যাস ও অ্যাসিডিটির সমস্যা হ্রাস করে।
চুল ও ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক টনিক
চুলের ঘনত্ব ও জেল্লা বাড়াতে আমলকি কার্যকর। এটি চুল পড়া কমিয়ে দেয় এবং ত্বকে এনে দেয় প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা। এছাড়া বলিরেখা হ্রাসেও এটি সাহায্য করে।
ওজন কমানো ও সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে
বিপাক হার বাড়িয়ে ও শরীরের টক্সিন দূর করে ওজন হ্রাসে সহায়তা করে আমলকি। পাশাপাশি, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি বিশেষ উপকারী, কারণ এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
হৃদরোগ ও চোখের সমস্যা প্রতিরোধে ভূমিকা
রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করে আমলকি। এতে থাকা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় ও চোখের নানা সমস্যা প্রতিরোধ করে।
মানসিক ও লিভারের স্বাস্থ্যের উন্নয়ন
আমলকির উপাদান মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে, স্মৃতিশক্তি বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়। পাশাপাশি এটি লিভার পরিষ্কার করতে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে কার্যকর।
সেবনের পদ্ধতি
সকালে খালি পেটে ২০-৩০ মিলি আমলকি রস পান করাই সবচেয়ে উপকারী। স্বাদ ভারসাম্যের জন্য জলে মিশিয়ে পান করা যেতে পারে। চাইলে এতে এক চিমটি কালো লবণ বা কিছু মধুও যোগ করা যায়।
শরীর সুস্থ রাখতে প্রাকৃতিক উপায় খুঁজলে আমলকির জুস হতে পারে এক শক্তিশালী সঙ্গী।
রাজু