
ছবি : সংগৃহীত
কিছু দৈনন্দিন খাবার আছে যেগুলো নিয়মিত খেলে ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে। যদিও কোনো খাবার শতভাগ ক্যান্সার রোধ করতে পারে না, তবে কিছু খাবারে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস ক্যান্সার কোষ গঠনের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
নিচে কিছু সাধারণ খাবারের তালিকা দেওয়া হলো যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে:
১. ব্রোকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি (Cruciferous vegetables)
- এই সবজিগুলোতে সালফোরাফেন নামে একটি যৌগ থাকে যা ক্যান্সার কোষ ধ্বংসে সাহায্য করতে পারে।
২. রসুন
- রসুনে অ্যালিসিন থাকে, যা অ্যান্টি-ক্যান্সার বৈশিষ্ট্যযুক্ত।
৩. টমেটো
- টমেটোতে থাকা লাইকোপিন প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর হতে পারে।
৪. গাজর
- বিটা-ক্যারোটিনে ভরপুর গাজর বিশেষভাবে ফুসফুস, মুখ ও পাকস্থলীর ক্যান্সার রোধে সাহায্য করতে পারে।
৫. সবুজ চা
- এতে আছে ক্যাটেচিনস নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কোষকে ক্যান্সার থেকে রক্ষা করতে পারে।
৬. বেরি জাতীয় ফল (যেমন: ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি)
- এদের মধ্যে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা কোষের ক্ষতি প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৭. মাছ (বিশেষ করে স্যামন, সারডিন)
- ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি কমাতে পারে।
৮. *মসুর ডাল ও নানা ধরনের শিমজাতীয় খাবার*
- এতে ফাইবার ও ফাইটোকেমিক্যাল থাকে যা অন্ত্রের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৯. হলুদ
- এতে থাকা কারকিউমিন উপাদানটি শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-ক্যান্সার গুণসম্পন্ন।
১০. পানি ও হাইড্রেশনের গুরুত্ব
- শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে পানি খুব গুরুত্বপূর্ণ।
অতিরিক্ত টিপস:
*প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।
*তেলে ভাজা খাবার ও প্রসেসড ফুড যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।
*ধূমপান ও অতিরিক্ত মদ্যপান থেকে বিরত থাকুন।
*প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করুন।
আঁখি