
মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে কিছু সহজ কিন্তু কার্যকর অভ্যাস আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ করে নেওয়া জরুরি। নিচে উল্লেখ করা হলো এমনই ৯টি কার্যকর অভ্যাস—
🔹 গুণগত ঘুম নিশ্চিত করুন
মস্তিষ্কের স্মৃতি সংরক্ষণ প্রক্রিয়া ঠিকভাবে কাজ করতে হলে ৭-৯ ঘণ্টা মানসম্মত ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমের মাধ্যমে মনোযোগ ও শেখার ক্ষমতা বাড়ে।
🔹 মস্তিষ্কের উপযোগী খাবার খান
শাকসবজি, পালংশাক, ব্রকলি, বেরি জাতীয় ফল, বাদাম ও ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ মাছ মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়ক। এ ধরনের খাবার স্মৃতি ও মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।
🔹 শরীরচর্চায় সক্রিয় থাকুন
দিনে মাত্র ৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটিও মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে পারে। শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকলে অলসতা দূর হয় এবং মন থাকে সজাগ।
🔹 মাইন্ডফুলনেস বা সচেতন ধ্যান চর্চা করুন
নিয়মিত মেডিটেশন মানসিক চাপ, উদ্বেগ ও হতাশা কমায়—যা স্মৃতিকে বিভ্রান্ত করে। প্রতিদিন কিছু সময় সচেতন ধ্যান মানসিক শান্তি ও ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
🔹 মস্তিষ্ককে চ্যালেঞ্জ করুন
পাজল খেলা, নতুন ভাষা শেখা বা বাদ্যযন্ত্র বাজানোর মতো কাজ মস্তিষ্ককে উত্তেজিত রাখে। এটি বয়সভিত্তিক স্মৃতি হ্রাস প্রতিরোধেও কার্যকর।
🔹 সামাজিক সংযোগ তৈরি করুন
ভালো সামাজিক সম্পর্ক মানসিক সুস্থতা বাড়ায় এবং মস্তিষ্কের বয়সজনিত দুর্বলতা ধীরে করে। তা ছাড়া, মানুষকে সুখী রাখে।
🔹 পর্যাপ্ত পানি পান করুন
প্রতিদিন ৬-৮ গ্লাস পানি পান করে নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন। এতে মন সতেজ ও সক্রিয় থাকে।
🔹 একসাথে অনেক কাজ এড়িয়ে চলুন
একাধিক কাজ একসাথে করলে মানসিক চাপ বাড়ে এবং মনোযোগ বিচ্যুতি ঘটে। একবারে একটি কাজ করলে স্মৃতি ও কার্যক্ষমতা বাড়ে।
🔹 লিখে রাখার অভ্যাস গড়ুন
কাগজে লিখে রাখলে শেখা ও স্মৃতি শক্তিশালী হয়। টাইপ করার তুলনায় লিখে রাখলে বেশি কিছু মনে রাখা সম্ভব হয়।
এই অভ্যাসগুলো দৈনন্দিন জীবনে আনলে আপনার মস্তিষ্ক থাকবে আরও বেশি সতেজ, সৃজনশীল ও কার্যকর।
রাজু