
ছবিঃ সংগৃহীত
অনেক পুরুষকে দেখে মনে হয় তাঁরা দারুণ আত্মবিশ্বাসী। তবে মনোবিজ্ঞান বলছে, অনেকে এই আত্মবিশ্বাসের মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে রাখেন গভীর অনিশ্চয়তা ও আত্মসন্দেহ। কিছু সূক্ষ্ম শরীরী ভাষা দেখে বোঝা যায়, তাঁদের ভিতরে চলতে থাকা দ্বন্দ্ব। এমন সাতটি শরীরী ভাষা রয়েছে যা আসলে আত্মবিশ্বাস নয়, বরং লুকানো অনিরাপত্তার ইঙ্গিত দেয়।
১. অতিরিক্ত শক্ত ভাব
যেমন বুক ফুলিয়ে হাঁটা বা হাত-পা ছড়িয়ে বসা। এতে আত্মবিশ্বাস দেখাতে চাইলেও, অতিরঞ্জন অনেক সময় অনিরাপত্তা ঢাকার চেষ্টার ইঙ্গিত দেয়।
২. চোখে চোখ না রাখা
সরাসরি চোখে না তাকানো আত্মবিশ্বাসের অভাবের লক্ষণ হতে পারে। এটা ভয়ের বা আত্মবিশ্বাসের ঘাটতির ইঙ্গিত দেয়।
৩. নিজেকে নিয়ে অতিরিক্ত ঠাট্টা
নিজেকে নিয়ে হাস্যরস মাঝে মাঝে ভালো হলেও, যখন তা বেশি হয়ে যায়, তখন বুঝতে হবে, মানুষটি হয়তো নিজের ভিতরের দুর্বলতা ঢাকতে চাচ্ছেন।
৪. হাতের নড়াচড়া বা ফিজেটিং
কথা বলার সময় হাত ঘুরানো, কিছু না কিছু নিয়ে খেলা করা ইত্যাদি বুঝায়, ভিতরে অস্থিরতা কাজ করছে।
৫. কণ্ঠস্বরে ঘন ঘন পরিবর্তন
আত্মবিশ্বাসী মানুষের কণ্ঠ সাধারণত স্থির ও নির্ভরযোগ্য হয়। কিন্তু যাঁরা অনিরাপদ বোধ করেন, তাঁদের কণ্ঠস্বর কখনো হাই, কখনো লো হয়ে ওঠে।
৬. সবসময় হ্যাঁ বলা
সবকিছুতে রাজি হয়ে যাওয়া, নিজের মত না বলা—এসব আচরণ দেখায় যে তিনি হয়তো মতবিরোধে ভয় পান বা নিজেকে প্রকাশ করতে অনিরাপদ বোধ করেন।
৭. অতিরিক্ত হাসি
যথার্থ হাসি ভালো, কিন্তু যখন হাসি পরিস্থিতির সঙ্গে মানানসই নয়, তখন সেটা আত্মবিশ্বাস নয়, বরং অস্বস্তি ঢাকার কৌশল হতে পারে।
এই শরীরী ভাষাগুলো যে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি বোঝায় তা নয়, তবে সময়ের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করলে, মানুষ সম্পর্কে গভীর বোঝাপড়া গড়ে ওঠে। আমাদের উচিত মানুষকে বিচার না করে বোঝার চেষ্টা করা। এই সূক্ষ্ম ইঙ্গিতগুলো আমাদের সম্পর্ক ও আত্মউন্নয়ন দুটিতেই সাহায্য করতে পারে।
সূত্রঃ হ্যাকস্পিরিট
আরশি