
ছবি: প্রতীকী
আজকাল একজোড়া শব্দ প্রায়ই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরতে দেখা যায়। আর তা হলো ‘টক্সিক রিলেশনশিপ’। মনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, ব্যক্তির স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়, এমনকি সামাজিকভাবেও হেয় করে- এমন সম্পর্ককে টক্সিক রিলেশনশিপ বা টক্সিক সম্পর্ক বলা যেতে পারে।
কীভাবে বুঝবেন সম্পর্ক টক্সিক? সমাধানই বা কী?
সম্পর্ক মানেই বিশ্বাস, ভরসা আর স্বস্তির একটি জায়গা। তা হোক বন্ধুত্বের সম্পর্ক কিংবা ভালোবাসার। কিন্তু এই সম্পর্ক যদি আপনাকে তিনটি উপাদানের একটি দিতেও ব্যর্থ হয় তবে বুঝতে হবে, কোথাও সমস্যা আছে।
নিচে আরও কিছু লক্ষণ আলোচনা করা হলো, যেগুলোর মাধ্যমে সম্পর্ক টক্সিক হয়ে যাচ্ছে কিনা, তা সহজে বুঝে ফেলা যায়-
১. সবসময় দোষ ধরেন ও ছোট করেন
আপনার সঙ্গী যদি সবসময় আপনার ভুল খুঁজে বের করেন বা আপনাকে অপমান করেন, তাহলে এটি আপনার আত্মবিশ্বাস নষ্ট করতে পারে।
করণীয়: নিজের সীমা নির্ধারণ করুন এবং শান্তভাবে নিজের অবস্থান জানান। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
২. অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ করতে চান
আপনার সঙ্গী যদি আপনার পোশাক, বন্ধু-বান্ধব বা চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করতে চান, তাহলে এটি ভালোবাসা নয়, বরং আধিপত্যের ইঙ্গিত।
করণীয়: নিজের স্বাধীনতা বজায় রাখুন এবং প্রয়োজনে সম্পর্ক নিয়ে পুনর্বিবেচনা করুন।
৩. আপনাকে মানসিকভাবে বিভ্রান্ত করে
আপনার সঙ্গী যদি আপনার অনুভূতি বা স্মৃতিকে অস্বীকার করেন, তাহলে আপনি নিজেই নিজের ওপর সন্দেহ করতে শুরু করতে পারেন।
করণীয়: নিজের অনুভূতির উপর বিশ্বাস রাখুন এবং প্রয়োজনে বন্ধু বা পেশাদারদের সহায়তা নিন।
৪. দায়িত্ব এড়িয়ে যান
আপনার সঙ্গী যদি সবসময় দোষ আপনার ওপর চাপিয়ে দেন এবং নিজের ভুল স্বীকার না করেন, তাহলে এটি সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর।
করণীয়: তাদের দায়িত্ব নিতে উৎসাহিত করুন এবং নিজেকে দোষারোপ করা থেকে বিরত থাকুন।
৫. আপনার আবেগকে অবহেলা করেন
আপনার সঙ্গী যদি কখনো খুব স্নেহশীল হন, আপনাকে অতিরিক্ত ভালোবাসা দেখান, আবার কখনো একেবারে উদাসীন, তাহলে এটি আপনাকে একাকী ও অবহেলিত অনুভব করাতে পারে।
করণীয়: এই আচরণ স্বাভাবিক নয়। নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
রাকিব