
ছবি: সংগৃহীত
যখন বলিউডে রাজেশ খান্না এবং অমিতাভ বচ্চনের রাজত্ব, তখনো এক নায়ক ছিলেন, যিনি সৌন্দর্য, ব্যক্তিত্ব ও মাধুর্যের দিক থেকে সকলকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। মেয়েরা যেমন তাঁর জন্য পাগল ছিল, তেমনি শ্রীদেবী, মাধুরী দীক্ষিতের মতো তারকাদের কাছেও তিনি ছিলেন অতিপ্রিয়। আমরা কথা বলছি বলিউডের এক সময়ের হার্টথ্রব বিনোদ খান্না সম্পর্কে।
১৯৪৬ সালে জন্ম নেওয়া বিনোদ খান্না তাঁর চলচ্চিত্র যাত্রা শুরু করেন সুনীল দত্ত প্রযোজিত ‘মন কি জিৎ’ ছবির মাধ্যমে। তবে দর্শকের মন জয় করেন ‘মেরা গাঁও মেরা দেশ’ ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয়ের মাধ্যমে। এরপর একে একে ‘মেরে নিজেদের’, ‘আচানক’, এবং ‘ইমতিহান’–এর মতো ছবিতে অভিনয় করে পৌঁছে যান জনপ্রিয়তার শিখরে।
অনেকেই জানেন না, বিনোদ খান্নার বাবা চাইতেন না তিনি অভিনয়ের জগতে পা রাখুন। কিন্তু বাবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে নিজের স্বপ্ন অনুসরণ করে তিনি হয়ে ওঠেন বলিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়কদের একজন। এমনকি তাঁকে অমিতাভ বচ্চনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেও দেখা হতো। তারা একসঙ্গে বেশ কিছু হিট ছবিতে কাজ করেছেন।
আচমকা সবকিছু ছেড়ে আধ্যাত্মিকতায়
১৯৮২ সালে, ক্যারিয়ারের শীর্ষে থাকা অবস্থায় বিনোদ খান্না সবাইকে চমকে দিয়ে বলিউড থেকে বিরতি নেন। তিনি পাড়ি জমান আমেরিকার ওরেগনে ওশো রজনীশের আশ্রমে এবং নিজেকে আধ্যাত্মিক সাধনায় নিমগ্ন করেন। প্রায় ৫ বছর পর তিনি বলিউডে ফিরে এলেও ৭০-এর দশকের সেই খ্যাতি আর ফিরে পাননি।
ফেরার পর ‘কুরবানি’, ‘চাঁদনী’, ‘দয়াবান’ এবং ‘জুর্ম’ এর মতো কিছু হিট ছবি দিলেও, নব্বইয়ের দশকে একাধিক ফ্লপ ছবিও করেন। তাঁর শেষ বড় পর্দায় দেখা যায় ২০১৫ সালের শাহরুখ খান ও কাজলের সঙ্গে ‘দিলওয়ালে’ ছবিতে।
অসুস্থতা ও মৃত্যু
২০১৭ সালে তিনি মূত্রথলির ক্যান্সারে আক্রান্ত হন এবং দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ২৭ এপ্রিল তিনি প্রয়াত হন। মৃত্যুর সময় তিনি মারাত্মক পানিশূন্যতায় ভুগছিলেন।
সূত্র: https://www.india.com/entertainment/not-rajesh-khanna-amitabh-bachchan-girls-were-madly-in-love-with-this-hero-was-sridevi-madhuri-dixits-costar-his-name-was-vinod-khanna-7766757/
রবিউল হাসান