
ছবি: সংগৃহীত
বয়স বাড়ছে, আয়নাতে মুখের ভাঁজগুলো স্পষ্ট হচ্ছে—তবু কি থেমে যাবে তারুণ্য? একদম না! স্বাস্থ্য ও ফিটনেস বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু প্রাকৃতিক অভ্যাস আপনাকে ফিরিয়ে দিতে পারে যৌবনের শক্তি, উজ্জ্বলতা ও প্রাণশক্তি। নিয়মিত চর্চা ও সঠিক লাইফস্টাইল অনুসরণ করলে বয়স যেন শুধু সংখ্যামাত্র হয়ে যায়।
ফিটনেস বিশেষজ্ঞ সামিরা হোসেন বলেন, "তারুণ্য ধরে রাখার সবচেয়ে বড় চাবিকাঠি হলো শরীরের অভ্যন্তরীণ সুস্থতা। বাইরে থেকে ক্রীম বা প্রসাধনী যতই ব্যবহার করুন, যতদিন ভেতরটা ঠিক না থাকে, তারুণ্য ধরা দেবে না।"
এখন চলুন জেনে নেই সেই ৫টি প্রাকৃতিক উপায় যা বয়স বাড়লেও আপনার তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
১. পর্যাপ্ত ঘুম
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মাশরুর হায়দার বলেন, “প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম শরীরের কোষপুনর্গঠন এবং হরমোন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এতে ত্বক উজ্জ্বল থাকে এবং মানসিক প্রশান্তিও বজায় থাকে, যা যৌবনের জন্য অত্যন্ত জরুরি।”
২. ব্যায়াম এবং শরীরচর্চা
রোজ অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা, দৌড়ানো বা যোগব্যায়াম করলে শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়ে, বিপাকক্রিয়া উন্নত হয়। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে, পেশি মজবুত হয় এবং বয়সজনিত দুর্বলতা দেরিতে আসে।
৩. পুষ্টিকর ও প্রাকৃতিক খাবার
ফিটনেস ট্রেইনার রনি দত্ত জানান, “প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে প্রচুর সবুজ শাকসবজি, ফলমূল, বাদাম এবং পর্যাপ্ত পানি খেলে শরীরে টক্সিন জমতে পারে না। এতে কোষ ভালো থাকে এবং বার্ধক্য ধীরে আসে।”
৪. মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ
অতিরিক্ত স্ট্রেস শরীরের কোর্টিসল হরমোন বাড়িয়ে দেয়, যা দ্রুত বার্ধক্য ডেকে আনে। মেডিটেশন, মাইন্ডফুলনেস এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম মানসিক চাপ কমিয়ে দেয় এবং মস্তিষ্ককে তরতাজা রাখে।
৫. নিয়মিত ডিটক্স ও হারবাল সাপ্লিমেন্ট
অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাকৃতিক উপাদান যেমন হলুদ, আমলকি, তুলসি, এবং মেথি শরীরকে ডিটক্স করতে সাহায্য করে। তবে এসব ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই উত্তম।
শেষ কথা
তারুণ্য শুধু চেহারায় নয়, মনেও থাকতে হয়। নিজেকে ভালোবাসুন, নিজের যত্ন নিন এবং উপরের প্রাকৃতিক উপায়গুলো জীবনযাপনে অন্তর্ভুক্ত করুন। তাহলেই বয়স কেবল ক্যালেন্ডারের পাতা হয়ে থাকবে—আপনি থাকবেন চিরযৌবনা, চিরতারুণ্যভরা।
আসিফ