
ছবিঃ সংগৃহীত
আমাদের শৈশবের অভিজ্ঞতা ও পরিণত বয়সের আচরণের মধ্যে একটি গভীর সম্পর্ক রয়েছে, বিশেষ করে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ক্ষেত্রে। মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন, যারা সম্পর্কের প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে পারেন না, তাদের শৈশবে কিছু নির্দিষ্ট অভিজ্ঞতা ছিল যা এই আচরণে প্রভাব ফেলছে।
এই অভিজ্ঞতাগুলো ভালোবাসা, বিশ্বাস ও প্রতিশ্রুতির ধরনকে প্রভাবিত করে। অর্থাৎ, যদি আপনি বিশ্বস্ত থাকতে না পারেন, তা সম্পূর্ণ আপনার দোষ নাও হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার অতীত হয়তো আপনাকে অনেক বেশি প্রভাবিত করছে।
নিচে এমন সাতটি সাধারণ শৈশব অভিজ্ঞতার কথা বলা হয়েছে, যা পরিণত বয়সে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রতি অস্থিরতা বা অবিশ্বস্তার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
অস্থির পারিবারিক পরিবেশ
শৈশবে সংঘাতপূর্ণ, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বা বারবার বাড়ি বদলের মতো ব্যাপারগুলোও ভবিষ্যতে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করে।
আবেগগত স্বীকৃতির অভাব
যখন শিশুর অনুভূতিগুলো উপেক্ষা করা হয় বা খাটো করে দেখা হয়, তখন সে ভবিষ্যতে নিজের বা অন্যের আবেগের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারে না।
অত্যাচার-নির্যাতন দেখার অভিজ্ঞতা
শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন দেখলে বা নিজে তা সহ্য করলে সম্পর্কের মানে বিকৃত হয়। বিশ্বাসঘাতকতা বা অনাস্থার মতো ব্যাপারগুলো ধীরে ধীরে জন্ম নেয়।
জীবনে ইতিবাচক কোনো ব্যক্তিত্বের অভাব
যদি বিশ্বস্ত সম্পর্কের উদাহরণ শৈশবে চোখে না পড়ে, তাহলে তা বড় হয়ে শেখা কঠিন হয়ে পড়ে।
আবেগগত অবহেলা
যখন বাবা-মা শুধু শারীরিক যত্ন নেন, কিন্তু আবেগগত উপস্থিতি নেই, তখন সন্তানের ভেতরে এক ধরনের ফাঁকা ভাব তৈরি হয়, যা সে ভবিষ্যতে সম্পর্কের মাধ্যমে পূরণ করতে চায়।
অভিভাবকের অতিরিক্ত ছাড় দেওয়া
সবকিছুতে হ্যাঁ বলার অভ্যাস সন্তানকে সীমারেখা বুঝতে শেখায় না, ফলে পরবর্তী জীবনে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কে প্রতিশ্রুতি দেওয়া কঠিন হয়।
বিশ্বাস ও নিরাপত্তার অভাব
যখন শিশুকালে অভিভাবকের ওপর নির্ভর করা যায় না, তখন একটি গভীর অনাস্থা জন্ম নেয়, যা পরিণত বয়সেও সম্পর্ক নষ্ট করে দিতে পারে।
সূত্রঃ ডেইলি মোটিভেশন নিউজ
আরশি