
ছবি: সংগৃহীত
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে বলা হয়েছে, প্রকৃত পরিপক্বতা বয়সে নয়, একজন মানুষ জীবনের কঠিন পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেয়, তার ওপর নির্ভর করে। যদিও অনেক সময় প্রাপ্তবয়স্কদের জ্ঞানী ও নিয়ন্ত্রিত বলে মনে করা হয়, বাস্তবতা ভিন্ন। আসল পরিপক্বতা বোঝা যায় মানুষের চরিত্র, সিদ্ধান্ত ও মানসিকতা থেকে।
এখানে প্রকৃত পরিপক্বতার সাতটি প্রধান লক্ষণ তুলে ধরা হলো—
১. তারা প্রয়োজনীয় কাজ করেন, সহজ কাজ নয়
পরিপক্ব মানুষ দায়িত্ব থেকে পালিয়ে যান না। তারা জরুরি কাজগুলো সময়মতো শেষ করেন এবং সেগুলোকে উপভোগ্য করে তোলার উপায় খুঁজে নেন।
২. তারা জীবনের জন্য অভিযোগ করেন না
পরিপক্ব মানুষ জানেন, জীবন সব সময় ন্যায্য নয়। তাই অভিযোগ না করে তারা যেটুকু নিয়ন্ত্রণে আছে, সেদিকে মনোযোগ দেন ও কাজ করেন।
৩. তারা কখন সাহায্য করবে এবং কখন সাহায্য চাইবে, তা জানেন
পরিপক্বতা হলো আত্মনির্ভরতা ও সহযোগিতার সঠিক ভারসাম্য রক্ষা করা। তারা নিজে সমাধান খোঁজেন এবং অপরকে নির্ভরশীল করে তোলেন না।
৪. তারা নিজের ওপর কঠোর হতে জানেন
পরিপক্ব ব্যক্তিরা নিজের অলসতাকে চিহ্নিত করতে পারেন এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যান। তারা নিজের জন্য কঠোর নিয়ম তৈরি করেন এবং তা মেনে চলেন।
৫. তারা কী গ্রহণ করছেন, সে বিষয়ে সচেতন
খাদ্য, পোশাক কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—সবকিছুতেই তারা সচেতনভাবে বেছে নেন। অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকর জিনিস থেকে দূরে থাকেন।
৬. তারা মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেন
পরিপক্ব মানুষ জানেন, সুস্থ দেহ ও মনই জীবনের ভিত্তি। তাই ঘুম, খাদ্যাভ্যাস, ব্যায়াম ও মানসিক প্রশান্তিতে গুরুত্ব দেন।
৭. তাদের নৈতিক মূল্যবোধই তাদের পথপ্রদর্শক
পরিপক্ব ব্যক্তিরা সততা, বিশ্বাস ও ন্যায়বোধের মতো নীতিতে অটল থাকেন—এমনকি যদি সেটা তাদের জন্য কঠিন হয়। তারা কাজের মাধ্যমে নিজেদের বিশ্বাসকে প্রমাণ করেন।
সবশেষে, বলা যায়—পরিপক্বতা সময়ের সাথে আপনা-আপনি আসে না। এটি একটি সচেতন সিদ্ধান্ত—নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা, দায়িত্ব নেওয়া, এবং অর্থপূর্ণ জীবনযাপন করার মানসিকতা।
সূত্র: https://medium.com/publishous/7-signs-youve-grown-and-matured-as-a-person-6fb1de185e1d
আবীর