
ছবি: সংগৃহীত
বৃষ্টির সময় বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকে। এ কারণে প্রকৃতি কাপড়ের পানি শুষে নিতে পারে না। তাছাড়া বৃষ্টির সময় বাতাসে থাকায় পানি এসে কাপড়ে পড়ে এতো ভিজে যায়, সাথে ধুলাবালিও আসে। ফলে কাপড় শুকাতে দেরী হয় এবং ময়লা হয়ে যেতে পারে।
বর্ষাকালে বা বৃষ্টির সময় আমাদের ভেজা বা আধাভেজা কাপড় জমতে থাকে। এতে কাপড়ের গুণগত মান নষ্ট হয়। তাছাড়া কাপড়ে একটা ভ্যাপসা গন্ধও হতে পারে।
এসব সমস্যা কমাতে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন:
১. এই ধরনের আবহাওয়ায় এমন কাপড়ের পোশাক বাছাই করা উচিত যা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। যেমন: জর্জেট, শিফন বা লিলেনের তৈরি কাপড়।
২. সুতি কাপড় বৃষ্টতে ভিজলে শুকিয়ে যাওয়ার আগেই তা ধুয়ে ফেলতে হবে। তা না হলে কাপড়ে তিলা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩. কোনো কাপড় একটানা দুই একদিন ভেজা থাকলেই তা থেকে একটা কটু ভ্যাপসা গন্ধ বের হয়। এমন হলে ডিটারজেন্ট বা অ্যান্টিসেপ্টিক দিয়ে কাপড় ধুয়ে নিন।
৪. এছাড়াও ভেজা কাপড়কে ফাঙ্গাস থেকে বাঁচাতে ব্যবহার করতে পারেন ভিনেগার। আধা কাপ হোয়াইট ভিনেগার ডিটারজেন্টের সাথে মিশিয়ে তাতে কাপড় ডুবিয়ে রাখুন। এতে ময়লা ও দুর্গন্ধ দুটোই দূর হবে।
৫. বৃষ্টির জন্য ছাদে বা বারান্দায় যেহেতু কাপড় নাড়া যায় না, তাই ঘরেই সাময়িকভাবে দড়ি টানিয়ে কাপড় শুকানোর ব্যবস্থা করতে পারেন।
৬. কাপড় শুকানোর জন্য যে ঘরে মানুষের চলাচল কম সেই ঘরটিকে বেছে নিন।
৭. কাপড়ের পানি ভালোভাবে ঝরিয়ে নিয়ে ঝেড়ে শুকাতে দিন এবং চাইলে ফ্যান ও ছেড়ে দিতে পারেন।
৮. ঘরের জানালা খুলে দিতে পারেন। তবে সতর্ক থাকতে হবে কারণ ভেজা কাপড়ের আর্দ্রতা থেকে হতে পারে সর্দি কাশি।
৯. শুকনো কাপড়ের পাশাপাশি হালকা ভেজা কাপড়গুলোকেও আয়রন করে ফেলতে পারেন। এতে ফাঙ্গাস পড়ার ঝুঁকি থাকে না।
১০. রান্নাঘরে কখনোই কাপড় শুকাবেন না। এতে আগুন ছড়িয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
১১. সূর্যের তাপে কাপড় শুকালে জীবাণু ধ্বংস হয়। তাই মেঘ কেটে গেলে কাপড় রোদে মেলে দিন।
মায়মুনা