
ছবি: সংগৃহীত
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের পাশাপাশি আজকাল মানসিক প্রশান্তি ও সামগ্রিক সুস্থতার জন্য আধ্যাত্মিকতার গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে ব্যস্ত ও চাপে ভরা জীবনে অনেকেই আধ্যাত্মিক অনুশীলনের মাধ্যমে শান্তি খুঁজে পান। যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের 'Harvard Health Publishing'–এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আধ্যাত্মিকতা মানুষকে দুঃখ-কষ্ট সামলাতে সাহায্য করে এবং মানসিকভাবে আরও স্থিতিশীল করে তোলে।
চলুন জেনে নেই, কীভাবে আধ্যাত্মিকতা আমাদের স্বাস্থ্য ও মানসিক প্রশান্তিতে ভূমিকা রাখে—
১. মানসিক চাপ হ্রাসে সহায়ক
ধ্যান, প্রার্থনা কিংবা যোগব্যায়ামের মতো আধ্যাত্মিক চর্চাগুলো মানসিক চাপ কমাতে দারুণ কার্যকর। এগুলো স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত করে এবং কর্টিসল হরমোনের মাত্রা হ্রাস করে।
২. আত্মবিশ্বাস ও জীবনের অর্থ খুঁজে পাওয়ার পথ দেখায়
আধ্যাত্মিকতা মানুষকে নিজের অস্তিত্ব ও জীবনের লক্ষ্য নিয়ে ভাবতে শেখায়। ফলে জীবনের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি হয়।
৩. সামাজিক সংযোগ বৃদ্ধি পায়
ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত থাকলে মানুষের মধ্যে একধরনের সামাজিক বন্ধন তৈরি হয়, যা একাকীত্ব কমাতে সাহায্য করে।
৪. মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত হয়
বিশেষজ্ঞরা বলেন, যারা নিয়মিত আধ্যাত্মিক চর্চা করেন, তাদের মধ্যে উদ্বেগ ও বিষণ্নতার হার তুলনামূলকভাবে কম থাকে।
৫. সুস্থ অভ্যাস গঠনে সহায়তা করে
আধ্যাত্মিক জীবনধারা মানুষকে মাদক, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বা অন্য নেতিবাচক অভ্যাস থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।
৬. আত্মশুদ্ধি ও সহনশীলতা বৃদ্ধি পায়
আধ্যাত্মিকতা মানুষকে নিজের ভুলত্রুটি বুঝতে শেখায় এবং অন্যদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে উদ্বুদ্ধ করে।
হার্ভার্ড হেলথ-এর মতে, "Spirituality and health are deeply connected. For many, it helps create balance and coping mechanisms, especially during tough times" (Harvard Health Publishing, 2021)।
এই কারণে বর্তমানে অনেক চিকিৎসক ও থেরাপিস্টরাও রোগ নিরাময়ের সহায়ক উপায় হিসেবে আধ্যাত্মিকতার পরামর্শ দিচ্ছেন।
আসিফ