
ছবি: সংগৃহীত
আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা কোনো প্ল্যান বাতিল হলে, খুশিতে হন। এটা যে শুধুই আলসেমির জন্য এমন নয়, মনোবিজ্ঞানের মতে, এমন মানুষের আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
তারা নিজের সঙ্গ উপভোগ করেন
এই মানুষগুলো একা থাকতে ভালোবাসেন। তারা নিজেদের ভাবনা, পছন্দের কাজে বা নীরবতায় শান্তি খুঁজে পান। এজন্য অন্যদের সঙ্গ না পেলেও তারা দুঃখিত হন না।
তারা চারপাশের উত্তেজনায় সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন
জোরে আওয়াজ, আলো, ভিড় বা বিশৃঙ্খলা তাদের খুব বেশি ক্লান্ত করে ফেলে। শান্ত পরিবেশে থাকার সুযোগ পেলে তারা স্বস্তি বোধ করেন।
তারা গভীর সম্পর্ক পছন্দ করেন
তুচ্ছ কথাবার্তা তাদের জন্য ক্লান্তিকর। তারা গভীর, আন্তরিক, হৃদয়স্পর্শী আলাপকে বেশি মূল্য দেন।
তারা রুটিন এবং পূর্বপরিকল্পনায় বিশ্বাসী
প্ল্যান ক্যান্সেল মানে রুটিনে ফিরে যাওয়ার সুযোগ, যা তাদের কাছে অনেকটাই স্বস্তির বিষয়। হঠাৎ পরিবর্তন তাদের অস্বস্তিকর লাগতে পারে।
তারা নিঃসঙ্গতাকে সৃজনশীলতার উৎস মনে করেন
একা সময় কাটানো তাদের চিন্তাকে শাণিত করে, নতুন আইডিয়া বা সৃজনশীল কাজ করার সুযোগ দেয়। অনেক শিল্পী ও চিন্তাবিদই নিঃসঙ্গতাকে শক্তির উৎস বলেছেন।
তারা সামাজিকতা পছন্দ করেন তবে ছোট পরিসরে
বড় জমায়েত নয়, তারা স্বল্প সংখ্যক প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসেন। এতে তারা বেশি সংযোগ এবং অর্থ খুঁজে পান।
তারা একাকীত্বে শক্তি সঞ্চয় করেন
অনেকেই মানুষের সঙ্গে সময় কাটিয়ে উদ্যম পান, কিন্তু এরা ঠিক উল্টো। একা সময় কাটানোই তাদের ‘রিচার্জিং জোন’।
এ কারণেই প্ল্যান ক্যান্সেল মানেই সবার জন্য দুঃখের কারণ না। অনেকেই এটাকে নিজের সঙ্গে সময় কাটানোর, ভাবার, শ্বাস নেওয়ার এবং আবার নতুন উদ্যমে ফেরার একটা সুযোগ হিসেবে দেখেন। তারা সমাজবিমুখ নন, বরং নিজেরাই নিজেদের শান্তির জায়গা।
সূত্র: গ্লোবাল ইংলিশ এডিটিং
আরশি