
ছবি: সংগৃহীত
দুগ্ধজাত সকল খাবারই আমাদের শরীরের জন্য দারুন উপকারী। এগুলোতে থাকে প্রচুর পুষ্টি ও শক্তি উপাদান। দুগ্ধজাত এসব খাবারের মাঝে অন্যতম হলো ঘি। গরম ভাতের সাথে ঘি এর যেন কোনো তুলনা হয়না।
আমাদের একটি ভুল ধারণা থাকে যে ঘি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো না। ঘি এর অনেক উপকারী দিক রয়েছে। সেগুলো জেনে যদি আপনি ঘি খান তাহলে সেই উপকারিতাগুলো পেতে পারেন। তবে অবশ্যই সেটি হতে হবে পরিমিত।
ঘি এর উপকারী দিকগুলো হলো:
১. এটি একটি স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। এতে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড। আমাদের শরীরে যে অসংখ্য কোষ রয়েছে তাদের যে আবরণ বা কোষ মেমব্রেন থাকে তার অন্যতম গাঠনিক উপাদান হলো ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড, যা আমরা ঘি থেকে পেতে পারি।
২. ঘি তে থাকে প্রচুর ভিটামিন। বিশেষ করে চর্বিতে দ্রবনীয় ভিটামিন যেমন: ভিটামিন এ, ডি, ই, কে ইত্যাদি ভিটামিন আমরা ঘি থেকে পেতে পারি।
৩. খাবার খাওয়ার পর পরিপাকতন্ত্র থেকে খাবারের পুষ্টি উপাদান শোষণেও ঘি সাহায্য করে।
৪. ঘি পরিপাকতন্ত্রে এক ধরণের লুব্রিকেন্ট তৈরি করে যা আমাদের বাউয়েল মুভমেন্টেও সাহায্য করে।
৫. ঘি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
৬. ঘি তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৭. ঘি দিয়ে রান্না করলে একটু বেশি তাপেও রান্না করা যায়। অন্যান্য তেল যখন আমরা ব্যবহার করি সেগুলোর তাপ একটু বেশি হলেই তাতে বিভিন্নরকম রাসায়নিক বিক্রিয়া হয়। সেদিক থেকে ঘি অনেকটা নিরাপদ।
একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন কতটুকু ঘি খেতে পারেন -
একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন এক থেকে দুই চা চামচ ঘি খেতে পারেন। এর পরিমাণ হবে ৫ থেকে ১০ গ্রামের মতো।
আপনি যদি একটু বেশি পরিশ্রম করেন, খেলাধুলা বা ব্যায়াম করেন সেক্ষেত্রে আপনি দৈনিক ৩ থেকে ৪ চা চামচ ঘি খেতে পারেন। সেটি হতে পারে প্রায় ১৫ গ্রাম।
আমরা যদি পরিমিত মাত্রায় ঘি খাই, তাহলে আমরা এর স্বাস্থ্যকর দিকগুলো পেতে পারি এবং খাবারকেও সুস্বাদু করে তুলতে পারি।
তবে করো যদি খারাপ কোলেস্টেরল বেশি থাকে, তবে ডায়েটেশিয়ান বা ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে পরিমাণ জেনে নিতে পারেন। এতে পরবর্তীতে ঝুঁকি কম থাকবে।
মায়মুনা