
ছবি: সংগৃহীত
আজকের ব্যস্ত জীবনে মানসিক চাপ যেন নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্লান্তি, উদ্বেগ, একাকীত্ব কিংবা হতাশা—এসবের সঙ্গে প্রতিদিন লড়াই করতে হয় আমাদের। অথচ মাত্র ৩০ মিনিট হাঁটার অভ্যাসই হতে পারে এই লড়াইয়ের সহজ কিন্তু কার্যকর এক অস্ত্র। হাঁটাহাঁটি শুধু শারীরিক ফিটনেসেই সাহায্য করে না, এটি আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও দারুণভাবে কাজ করে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রতিদিন মাত্র ৩০ মিনিট হাঁটার মাধ্যমে আপনি কীভাবে মানসিকভাবে উপকৃত হতে পারেন—
১. চিন্তা পরিষ্কার করে
হাঁটার সময় আমাদের মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বাড়ে, যা চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। হাঁটতে হাঁটতে নতুন আইডিয়া মাথায় আসে, সমস্যার সমাধান খুঁজে পেতে সুবিধা হয়।
২. স্ট্রেস কমায়
প্রাকৃতিক পরিবেশে হেঁটে বেড়ালে শরীরে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা কমে যায়। মন শান্ত হয়, মাথা ঠাণ্ডা থাকে।
৩. মানসিক ক্লান্তি দূর করে
দীর্ঘ সময় কাজ করলে বা এক জায়গায় বসে থাকলে মানসিক ক্লান্তি আসে। ৩০ মিনিটের হালকা হাঁটা সেই ক্লান্তি দূর করে মনকে সতেজ করে তোলে।
৪. মেজাজ ভালো করে
হাঁটার সময় শরীর ‘এন্ডোরফিন’ নামের হ্যাপি হরমোন নিঃসরণ করে, যা আমাদের মন ভালো করতে সাহায্য করে।
৫. নিজের সঙ্গে সময় কাটানো যায়
শান্ত পরিবেশে একা হাঁটার সময় নিজের চিন্তা ও অনুভূতির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়, যা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
৬. ঘুমের মান ভালো করে
নিয়মিত হাঁটার ফলে শরীর ক্লান্ত হয়, ঘুম সহজেই আসে এবং গভীর ঘুম হয়। ভালো ঘুম মানেই ভালো মানসিক স্বাস্থ্য।
৭. আত্মবিশ্বাস বাড়ায়
নিজের শরীর ও মনের যত্ন নেওয়ার অনুভূতি আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। হাঁটার সময় নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়।
৮. সামাজিক যোগাযোগ বাড়ে
বন্ধু বা প্রতিবেশীর সঙ্গে হাঁটতে গেলে আলাপচারিতা হয়, যা একাকীত্ব দূর করে এবং সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করে।
শেষ কথা
শরীর ও মনের সুস্থতার জন্য জিমে না গিয়ে, ব্যয়বহুল থেরাপিতে না গিয়েও প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটলেই হতে পারে চমৎকার এক সমাধান। তাই আজ থেকেই হাঁটার অভ্যাস গড়ুন—নিজের ভালো থাকার জন্য।
আসিফ