
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশে নারীদের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা আগের চেয়ে উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। যদিও এখনও পুরুষদের তুলনায় নারীদের ধূমপানের হার তুলনামূলকভাবে কম, তবে সাম্প্রতিক গবেষণা ও পর্যবেক্ষণে দেখা যাচ্ছে, ধীরে ধীরে এই ফাঁক কমে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর পেছনে রয়েছে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক একাধিক কারণ।
ধূমপান নারীদের মধ্যে এক সময় সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য ছিল। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রভাব, নগরায়ণ এবং মিডিয়ার আধিপত্য—এই বাধাকে কিছুটা শিথিল করেছে। শহরের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া অনেক নারী এখন ধূমপানকে আধুনিকতা ও স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে দেখছেন।
এছাড়া ধূমপানসামগ্রীর সহজলভ্যতা ও তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী মূল্যও নারীদের মধ্যে ধূমপানের হার বাড়িয়ে তুলছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের নারীরা ধূমপানকে মানসিক চাপ থেকে সাময়িক মুক্তির উপায় হিসেবে নিচ্ছেন। পারিবারিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক চাপে থাকা নারীরা মানসিক শান্তির জন্য ধূমপানের প্রতি ঝুঁকছেন। এই চিত্র বেশি দেখা যাচ্ছে গ্রামীণ ও নিম্নআয়ের এলাকায়।
এদিকে ধূমপান বিরোধী কার্যক্রম এবং সচেতনতা প্রচারণার অভাবও এই প্রবণতা বৃদ্ধির পেছনে বড় ভূমিকা রাখছে। বিশেষ করে যেসব এলাকায় তথ্যপ্রযুক্তি বা স্বাস্থ্যসেবার পর্যাপ্ততা নেই, সেসব জায়গায় নারীরা ধূমপানের স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে তেমন সচেতন নন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রবণতা যদি নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তাহলে নারীদের মধ্যে ধূমপানজনিত রোগের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে পারে। তারা ধূমপানবিরোধী সচেতনতা বাড়ানো, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মনোযোগী প্রচার চালানো এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের ওপর জোর দিয়েছেন।
ফারুক