
ছবিঃ সংগৃহীত
আমাদের কথাবার্তা কেবল ভাব প্রকাশের মাধ্যম নয়, বরং তা আমাদের জীবনের অভিজ্ঞতা, সামাজিক অবস্থান এবং মূল্যবোধের প্রতিচ্ছবিও। ধনী পরিবারে বড় হওয়া ব্যক্তিরা অনেক সময় এমন কিছু মন্তব্য করে ফেলেন, যা মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের কাছে আউট অফ টাচ বা বাস্তবতা বিবর্জিত বলে মনে হয়। এটা অনিচ্ছাকৃত হলেও, এতে একটা বড় সামাজিক ব্যবধান প্রকাশ পায়।এই আলোচনায় আমরা এমন আটটি সাধারণ বাক্য বিশ্লেষণ করবো, যা উচ্চবিত্তকে মধ্যবিত্ত সমাজ থেকে দূরে রাখে।
‘ওরা নতুন কেনে ফেলকেই পারে’
এই বাক্যটি খুব সাধারণ, কিন্তু এর পেছনে লুকিয়ে আছে গভীর আর্থিক অজ্ঞতা। ধনী পরিবারে বড় হওয়া কেউ যদি দেখে কারো মোবাইল পুরোনো, বা জামাটা কিছুটা ছেঁড়া, তখন তারা সহজেই বলে ফেলতে পারে, নতুন কিনে ফেলো না কেন? কিন্তু মধ্যবিত্ত শ্রেণির কাছে প্রতিটি জিনিসের মূল্য আছে। তারা চেষ্টা করে যতটা সম্ভব মেরামত করে জিনিসটা চালিয়ে নিতে। ‘নতুন কিনে নাও’ বলা যতটা সহজ, বাস্তবে তা অনেকের জন্য একদমই সম্ভব নয়।
‘আমি বিশ্বাসই করতে পারি না ওরা এত কম জায়গায় বেড়াতে গেছে’
এই বাক্যটি উচ্চবিত্তের কাছে হয়তো সাধারণ, কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে ভ্রমণ মানে—পরিকল্পনা, সঞ্চয় এবং ছাড়পত্রের অপেক্ষা। উচ্চবিত্ত পরিবারে প্রতিবছর দেশের বাইরে ছুটি কাটানো স্বাভাবিক, কিন্তু অন্যদিকে অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার বছরের পর বছর কোথাও ঘুরতে যেতে পারে না। তাই এই মন্তব্য শুধু আর্থিক দূরত্ব নয়, বরং জীবনের এক ভিন্ন বাস্তবতা প্রকাশ করে।
‘আমার বাচ্চারা পাবলিক স্কুলে পড়তে পারবে না’
প্রায় ৯০ শতাংশেরও বেশি শিশু পাবলিক স্কুলে পড়ে। উচ্চবিত্ত পরিবারে বড় হওয়া কেউ যদি বলেন, ‘পাবলিক স্কুলে আমি কখনো বাচ্চাকে পড়াবো না’, তা শুনতে মধ্যবিত্তের কাছে অসম্মানজনক ও বাস্তবতাবর্জিত মনে হতে পারে। কারণ, অধিকাংশ পরিবারে বেছে নেওয়ার সুযোগ নেই। পাবলিক স্কুলই তাদের একমাত্র অপশন।
‘তোমার ক্রেডিট কার্ড নেই!’
ক্রেডিট কার্ড একটি বিশাল ফাঁদ হতে পারে। উচ্চবিত্ত পরিবারে ক্রেডিট কার্ড একধরনের সুবিধাজনক পেমেন্ট মাধ্যম, মধ্যবিত্তের জন্য তা নয়। এই মন্তব্য সেই বাস্তবতা অস্বীকার করে যে, অনেকেই মাস শেষ হওয়ার আগেই হিসাব করে টাকা খরচ করে।
‘আমি নিজে করি না, অন্যদের দিয়ে করাই’
ছোটখাটো কাজ উচ্চবিত্তরা অন্যদের দিয়ে করানোর সামর্থ্য রাখলেও মধ্যবিত্তরা নিজের হাতেই সে কাজ শিখে করে ফেলে, কারণ টাকা বাঁচাতে হয়। এই মানসিকতা শুধু অভ্যাসগত নয়, বরং তা একজনের আর্থিক দায়িত্ববোধ ও আত্মনির্ভরতার পরিচায়ক।
সূত্রঃ গ্লোবাল ইংলিশ এডিটিং
যে বিষয়গুলো উচ্চবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা কাউকে মধ্যবিত্ত বাস্তবতা থেকে আলাদা করে
আমাদের কথাবার্তা কেবল ভাব প্রকাশের মাধ্যম নয়, বরং তা আমাদের জীবনের অভিজ্ঞতা, সামাজিক অবস্থান এবং মূল্যবোধের প্রতিচ্ছবিও। ধনী পরিবারে বড় হওয়া ব্যক্তিরা অনেক সময় এমন কিছু মন্তব্য করে ফেলেন, যা মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের কাছে আউট অফ টাচ বা বাস্তবতা বিবর্জিত বলে মনে হয়। এটা অনিচ্ছাকৃত হলেও, এতে একটা বড় সামাজিক ব্যবধান প্রকাশ পায়।এই আলোচনায় আমরা এমন আটটি সাধারণ বাক্য বিশ্লেষণ করবো, যা উচ্চবিত্তকে মধ্যবিত্ত সমাজ থেকে দূরে রাখে।
‘ওরা নতুন কেনে ফেলকেই পারে’
এই বাক্যটি খুব সাধারণ, কিন্তু এর পেছনে লুকিয়ে আছে গভীর আর্থিক অজ্ঞতা। ধনী পরিবারে বড় হওয়া কেউ যদি দেখে কারো মোবাইল পুরোনো, বা জামাটা কিছুটা ছেঁড়া, তখন তারা সহজেই বলে ফেলতে পারে, নতুন কিনে ফেলো না কেন? কিন্তু মধ্যবিত্ত শ্রেণির কাছে প্রতিটি জিনিসের মূল্য আছে। তারা চেষ্টা করে যতটা সম্ভব মেরামত করে জিনিসটা চালিয়ে নিতে। ‘নতুন কিনে নাও’ বলা যতটা সহজ, বাস্তবে তা অনেকের জন্য একদমই সম্ভব নয়।
‘আমি বিশ্বাসই করতে পারি না ওরা এত কম জায়গায় বেড়াতে গেছে’
এই বাক্যটি উচ্চবিত্তের কাছে হয়তো সাধারণ, কিন্তু মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে ভ্রমণ মানে—পরিকল্পনা, সঞ্চয় এবং ছাড়পত্রের অপেক্ষা। উচ্চবিত্ত পরিবারে প্রতিবছর দেশের বাইরে ছুটি কাটানো স্বাভাবিক, কিন্তু অন্যদিকে অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার বছরের পর বছর কোথাও ঘুরতে যেতে পারে না। তাই এই মন্তব্য শুধু আর্থিক দূরত্ব নয়, বরং জীবনের এক ভিন্ন বাস্তবতা প্রকাশ করে।
‘আমার বাচ্চারা পাবলিক স্কুলে পড়তে পারবে না’
প্রায় ৯০ শতাংশেরও বেশি শিশু পাবলিক স্কুলে পড়ে। উচ্চবিত্ত পরিবারে বড় হওয়া কেউ যদি বলেন, ‘পাবলিক স্কুলে আমি কখনো বাচ্চাকে পড়াবো না’, তা শুনতে মধ্যবিত্তের কাছে অসম্মানজনক ও বাস্তবতাবর্জিত মনে হতে পারে। কারণ, অধিকাংশ পরিবারে বেছে নেওয়ার সুযোগ নেই। পাবলিক স্কুলই তাদের একমাত্র অপশন।
‘তোমার ক্রেডিট কার্ড নেই!’
ক্রেডিট কার্ড একটি বিশাল ফাঁদ হতে পারে। উচ্চবিত্ত পরিবারে ক্রেডিট কার্ড একধরনের সুবিধাজনক পেমেন্ট মাধ্যম, মধ্যবিত্তের জন্য তা নয়। এই মন্তব্য সেই বাস্তবতা অস্বীকার করে যে, অনেকেই মাস শেষ হওয়ার আগেই হিসাব করে টাকা খরচ করে।
‘আমি নিজে করি না, অন্যদের দিয়ে করাই’
ছোটখাটো কাজ উচ্চবিত্তরা অন্যদের দিয়ে করানোর সামর্থ্য রাখলেও মধ্যবিত্তরা নিজের হাতেই সে কাজ শিখে করে ফেলে, কারণ টাকা বাঁচাতে হয়। এই মানসিকতা শুধু অভ্যাসগত নয়, বরং তা একজনের আর্থিক দায়িত্ববোধ ও আত্মনির্ভরতার পরিচায়ক।
সূত্রঃ গ্লোবাল ইংলিশ এডিটিং
আরশি