
ছবি: সংগৃহীত
কুকুরকে শুধু ভালোবাসলেই হয় না, তাদের দেখভাল করতে প্রয়োজন সঠিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা। কিছু কিছু কুকুর প্রজাতি রয়েছে যাদের আচরণ, প্রশিক্ষণ ও যত্নের দিক থেকে তুলনামূলক জটিলতা বেশি। এ ধরনের প্রজাতির কুকুর পালনে নতুন বা অনভিজ্ঞ মালিকরা পড়তে পারেন নানা ধরনের সমস্যায়। তাই এসব কুকুরের জন্য প্রয়োজন অভিজ্ঞ মালিক, যারা তাদের সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ ও যত্ন নিতে সক্ষম।
নিচে এমন কয়েকটি কুকুর প্রজাতির তালিকা দেওয়া হলো যেগুলোর জন্য অভিজ্ঞ মালিকের উপস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ:
🔹 আলাসকান মালামুট (Alaskan Malamute): শক্তিশালী, জেদি এবং প্রচণ্ড শারীরিক পরিশ্রমের ক্ষমতাসম্পন্ন এই প্রজাতির কুকুরদের জন্য প্রয়োজন নিয়মিত অনুশীলন ও মানসিক উদ্দীপনা।
🔹 বেলজিয়ান মালিনোইস (Belgian Malinois): পুলিশের সহকারী কুকুর হিসেবে পরিচিত এই প্রজাতি অত্যন্ত বুদ্ধিমান, চঞ্চল ও চ্যালেঞ্জিং। অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক ছাড়া এদের নিয়ন্ত্রণ কঠিন।
🔹 চৌ চৌ (Chow Chow): স্বাধীনচেতা ও একরোখা স্বভাবের জন্য বিখ্যাত। এদের সামাজিকীকরণ ও প্রশিক্ষণে বিশেষ মনোযোগ প্রয়োজন।
🔹 অ্যাকিতা (Akita): আত্মবিশ্বাসী ও প্রভাবশালী এই কুকুর প্রজাতি পরিবারের প্রতি অনুগত হলেও অপরিচিতদের প্রতি রুক্ষ হতে পারে। সঠিক প্রশিক্ষণ ছাড়া এরা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।
🔹 রটওয়েলার (Rottweiler): দারুণভাবে রক্ষক স্বভাবের এই প্রজাতি যদি ভুলভাবে লালন-পালন করা হয়, তবে আক্রমণাত্মক আচরণ প্রকাশ করতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব প্রজাতির কুকুর পালনের আগে সম্ভাব্য মালিকদের প্রশিক্ষণ, দৈনন্দিন যত্ন, খাদ্যাভ্যাস এবং সামাজিকীকরণ সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা থাকা উচিত। নইলে কুকুরটির সঙ্গে মালিকের সম্পর্ক যেমন বিঘ্নিত হতে পারে, তেমনি আশেপাশের পরিবেশের জন্যও তা হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
তাই কুকুর পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জেনে-বুঝে নেওয়াটাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।
আসিফ