
ছবিঃ সংগৃহীত
অনেক পরিবারেই এমন কিছু আচরণ রয়েছে, যেগুলো দেখতে ভালো লাগলেও ভিতরে ভিতরে টক্সিক। আশ্চর্য হলেও সত্য, এগুলোর অনেকগুলো এখনো গর্ব করে চর্চা করা হয়, যদিও তা সন্তানের মানসিক বিকাশে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
চলুন দেখে নেওয়া যাক এমন সাতটি পারিবারিক আচরণ, যেগুলোকে আমাদের এখনই এখনই বন্ধ করা উচিত।
১) অতিরিক্ত আনুগত্যের প্রশংসা
‘বাচ্চাদের দেখা যাবে, শোনা যাবে না’— এই ধারণা আজও অনেক পরিবারে চলে। এতে শিশুরা নিজের মত প্রকাশ করতে ভয় পায়। ব্যক্তিত্ব গড়ে ওঠে না, তারা হয়ে ওঠে অন্যের পছন্দে চলা মানুষ। মনে রাখতে হবে ভালো শিক্ষা মানে শুধু শোনা নয়, শেখা ও পরিবর্তনে আগ্রহ।
২) চুপচাপ থাকার পুরস্কার
শিশুরা কথা না বললে অনেক অভিভাবক তা ভদ্রতা মনে করেন। কিন্তু এতে তারা মনে করে, তাদের অনুভব বা মতামতের মূল্য নেই। শান্ত না, বরং ভালো যোগাযোগ করতে শেখান সন্তানকে।
৩) অন্য কারো সাথে তুলনাভিত্তিক মোটিভেশন
‘ওর মতো কেন হতে পারো না?’ — এই তুলনা আত্মবিশ্বাস ধ্বংস করে। প্রতিটি শিশুর আলাদা গুণ আছে। ফুল যেমন আলাদা আলাদা ভাবে ফোটে, শিশুরাও তেমন।
৪) অস্বাস্থ্যকর নিখুঁততা
সবকিছু নিখুঁতভাবে করতে শেখানো সন্তানদের মনে চাপ তৈরি করে। ভুল করা শেখার অংশ। নিখুঁত হওয়া নয়, উন্নতির চেষ্টা থাকাই আসল।
৫) আবেগ দমন
কাঁদতে নিষেধ করা, ‘ভীতু হওয়া যাবে না’ —এই কথায় শিশুরা শেখে দুঃখ, ভয় লুকাতে। আবেগ থাকা স্বাভাবিক। শেখান কীভাবে তা ব্যবস্থাপনা করতে হয়।
৬) দ্বন্দ্ব এড়িয়ে চলা
সবসময় শান্ত থাকার মানে সমস্যাগুলো চাপা দেওয়া নয়। পরিবারে সত্যিকারের শান্তি আসে সংঘাতের মধ্য দিয়ে সমাধান খোঁজার মাধ্যমে।
৭) শর্তসাপেক্ষ ভালোবাসা
ভালো ফলাফল করলে তবেই ভালোবাসা— এমন বার্তা মারাত্মক ক্ষতিকর। সন্তান যেন জানে, কোনো শর্তে আপনার ভালোবাসা নির্ভর করে না।
এই আচরণগুলো সাধারণ হলেও এর প্রভাব গভীর। পরিবার মানে শুধু ভালোবাসা নয়, শেখা, বেড়ে ওঠা, এবং একে অপরকে মেনে নেওয়া।
সূত্রঃ গ্লোবাল ইংলিশ এডিটিং
আরশি