
ভারতের প্রচণ্ড গরমে ঘোল বা মঠা হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় ও কার্যকর পানীয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘোলের নানা স্বাদ ও ধরণের দেখা মেলে — কিছুটা ঝাল, কিছুটা টক, আবার কিছুটা মিষ্টিও। শরীর ঠাণ্ডা করার পাশাপাশি পেটের যত্নও নেয় এই পানীয়গুলো। নিচে রইল এমনই ৭টি ঘোল রেসিপি যা শরীর-মন দুটোই জুড়িয়ে দেবে।🔹 মোরু সাম্বারাম (Moru Sambaram)
দিব্যা নায়ারের তৈরি এই ঘোল সাধারণ চাছের থেকে ভিন্ন। এতে ব্যবহৃত হয় পিষে রাখা কারি পাতা, কাঁচা লঙ্কা, জিরা আর আদা। মাটির হাঁড়িতে রেখে ঠাণ্ডা করে খেলে স্বাদ হয় দ্বিগুণ।🔹 স্মোকড কাকড়ি ঘোল (Smoked Cucumber Buttermilk)
বিন্দ্যা কারওয়ার তৈরি এই কাকড়ি ঘোলে থাকে হিং-এর হালকা গন্ধ ও ধোঁয়ার স্বাদ, যা আসে জ্বলন্ত কয়লার সুগন্ধি মিশ্রণে। স্বাদে যেমন তাজা, তেমনই মাটির গন্ধে ভরপুর।🔹 স্মোকড মসলা চাছ (Smoked Masala Chaas)
সঙ্গীতা আগরওয়ালের এই স্মোকড চাছেও কয়লার ফ্লেভার থাকলেও এটি ঐতিহ্যবাহী রেসিপির অনুসরণে তৈরি। দই, কালা নুন, আদা ও কাঁচা লঙ্কার সঙ্গে আসে ধোঁয়ার এক অসাধারণ মিশ্রণ।🔹 মজ্জিগে সারু (Majjige Saaru)
হীরা এম জাধবের তৈরি কর্ণাটকের ঐতিহ্যবাহী এই পাতলা, টক ও মসলাদার ঘোলে থাকে জিরা, সরিষা, শুকনো লঙ্কা, মেথি ও আদা-রসুনের ফোড়ন। বরফ ঠাণ্ডা করে খেলে গরমে এক কথায় অনবদ্য।🔹 ভাত কানজি (Bhaat Kanji)
মায়ূর সানাপের এই মারাঠি খাবারে একসাথে থাকে ভাত ও ঘোল। আগের দিনের রান্না করা ভাত, টক দই ও মসলা মিশিয়ে ফারমেন্ট করে তৈরি হয় এই প্রোবায়োটিক খাবার, যা সাইড ডিশ বা মেইন কোরস হিসেবেও খাওয়া যায়।🔹 মসলা চাছ (Masala Chaas)
সবচেয়ে সহজ আর ক্লাসিক রেসিপি – পাতলা করে নেওয়া দইয়ের মধ্যে মেশানো হয় মশলা। দুপুরের খাবারের সঙ্গে বা গরম দুপুরে এক গ্লাস ঠাণ্ডা চাছ – শান্তি guaranteed!🔹 চাছ পানা কোট্টা (Chaas Panna Cotta)
চাছকে নিয়ে এক অভিনব পরীক্ষা করেছেন সাহারা স্টারের শেফরা। এই ফিউশন ডেজার্টে একসাথে মিলেছে ইতালির পানা কোট্টা (ক্রিম ও লেবু জেস্ট দিয়ে তৈরি) এবং ভারতীয় ঘোল বা মঠা। স্বাদের নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে এই মিশ্রণ।
রাজু