ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২

চোখ ধাঁধানো ভয়ংকর ৬ প্রাণী

প্রকাশিত: ২১:২৭, ১৪ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ২১:৩৫, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

চোখ ধাঁধানো ভয়ংকর ৬ প্রাণী

ছবি: সংগৃহীত

প্রাণীজগতে বাহ্যিক সৌন্দর্য অনেক সময় বিভ্রান্তিকর হতে পারে। অনেক কিছুই আমাদের চোখে পড়ে মায়াময়, কিন্তু কখনও কখনও সেই মায়ার আড়ালে লুকিয়ে থাকে ভয়ংকর বিপদ। 

চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্যের আড়ালে থাকা কিছু প্রাণী অনেক সময় এমন আচরণ করে, যা মানুষের জন্য হতে পারে ক্ষতিকর বা বিপজ্জনক। এ কারণেই সতর্ক না থাকলে বিপাকে পড়ার আশঙ্কা থাকে। চলুন, দেখে নেওয়া যাক এমন কিছু প্রাণীর কথা যাদের দেখলে প্রথমে মনে হবে আদুরে, কিন্তু তাদের গভীরে গিয়ে ধরা পড়ে এক ভয়ঙ্কর অন্য রূপ।

১. স্লো লরিস
বড় বড় আবেগঘন চোখ আর শান্ত স্বভাবের কারণে স্লো লরিসকে দেখে যে কেউ আদর করতে চাইবে। কিন্তু এই নিরীহ চেহারার রয়েছে এক ভিন্ন, বিপজ্জনক রূপ। নিশাচর এই প্রাণীটি তার কনুইয়ের গ্রন্থি থেকে এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থ নিঃসরণ করে, যা পরে তার দাঁতের সঙ্গে মিশে যায়। কামড় দিলে এই বিষ মানুষের শরীরে প্রবেশ করে মারাত্মক অ্যালার্জি বা প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে। তাই যতই নিরীহ মনে হোক না কেন, স্লো লরিস হতে পারে ভয়ংকর।

২. রেড ফক্স
উজ্জ্বল চোখ আর নজরকাড়া লেজে লাল শিয়াল দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, তেমনই ছলনাময়। এদের চেহারা যতই মনভোলানো হোক, বাস্তবে তারা বন্যপ্রাণী—যাদের কাছাকাছি যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। লাল শিয়াল র‍্যাবিসসহ নানা ধরনের রোগবাহী হতে পারে এবং আচরণে তারা অনেক সময় হঠাৎ করে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে। তাই যতই নিরীহ দেখাক না কেন, লাল শিয়ালকে অবহেলা করা ঠিক নয়।

৩. ডিঙ্গো
অস্ট্রেলিয়ার বুনো কুকুর ডিঙ্গো দেখতে অনেকটাই পোষা কুকুরের মতো মিশুক মনে হতে পারে। কিন্তু এর পেছনে লুকিয়ে থাকে তীক্ষ্ণ শিকারি প্রবৃত্তি। ডিঙ্গো সাধারণত মানুষের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলে, তবে যদি তারা হুমকির মুখে পড়ে বা তাদের এলাকা রক্ষার প্রয়োজন হয়, তখন আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে। তাই যতই বন্ধুভাবাপন্ন মনে হোক না কেন, ডিঙ্গোকে অবহেলা করা বিপজ্জনক হতে পারে।

৪. প্ল্যাটিপাস
হাঁসের ঠোঁটের মতো চেহারা ও খেলাধুলাপূর্ণ আচরণে প্ল্যাটিপাস দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, তেমনি রহস্যময়। কিন্তু এই বিস্ময়কর প্রাণীটি আসলে এক ধরনের গোপন বিপদের উৎস। পুরুষ প্ল্যাটিপাসের পেছনের পায়ে থাকে বিষাক্ত কাঁটা, যা দিয়ে তারা শত্রুকে আঘাত করতে পারে। এই বিষ মানুষকে মারাত্মক যন্ত্রণা দিতে সক্ষম—যা সাধারণ ব্যথানাশকেও প্রতিরোধ করতে পারে না।

৫. তাসমানিয়ান ডেভিল
ছোট আকার ও কিছুটা মজার চেহারার কারণে তাসমানিয়ান ডেভিলকে প্রথম দেখায় নিরীহ প্রাণী মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এটি মারাত্মক স্বভাবের। এই ছোট প্রাণীর কামড় তার দেহের আকার অনুযায়ী স্তন্যপায়ীদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী। নিজের এলাকা রক্ষা করতে বা খাবারের জন্য লড়াইয়ে নামলে তারা হয়ে উঠতে পারে অত্যন্ত আক্রমণাত্মক। তাসমানিয়ান ডেভিল দেখতে যতই "কার্টুনের মতো" লাগুক না কেন, এদের হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই।

৬. পয়জন ডার্ট ফ্রগ
এই উজ্জ্বল রঙের ব্যাঙগুলো তাদের প্রাণবন্ত রঙে আকর্ষণীয় হলেও, এগুলোর ত্বকে থাকা বিষাক্ত পদার্থ অত্যন্ত বিপজ্জনক। যদি ভুলবশত এদের ত্বক বা বিষাক্ত পদার্থ কারও মুখে চলে যায়, তা হতে পারে প্রাণঘাতী।

 

সোর্স: indianexpress.com

আরাফাত

×