ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২

শিশুদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার কঠোর কিছু প্যারেন্টিং নিয়ম

প্রকাশিত: ২১:০৮, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

শিশুদের ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার কঠোর কিছু প্যারেন্টিং নিয়ম

ছবি: প্রতীকী

কঠোর প্যারেন্টিংয়ের খারাপ ভাবমূর্তি থাকলেও, স্পষ্ট সীমাবদ্ধতা শিশুদেরকে সহানুভূতিশীল, নির্ভরযোগ্য এবং শক্তিশালী প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। এখানে ১০টি নিয়ম দেওয়া হলো যা সত্যিই ভালো মানুষ তৈরি করতে সহায়ক-

১। স্পষ্ট সীমাবদ্ধতা নির্ধারণ করুন

শিশুরা স্পষ্ট এবং নিয়মিত নির্দেশনা পছন্দ করে। এটি তাদের নিরাপত্তা, দায়িত্ববোধ এবং শ্রদ্ধা তৈরি করে, যা জীবনের সকল পর্যায়ে দায়িত্বশীল এবং শ্রদ্ধাশীল আচরণ গড়ে তোলে।

২। প্রতিদিন কিছু কাজের দায়িত্ব দিন

শিশুদের উপযুক্ত বয়স অনুযায়ী কাজ দেয়া তাদের দায়িত্বশীলতা সম্পর্কে সচেতন করে ও অন্যকে সহযোগিতা করতে শেখায়। এটি তাদের স্বাধীনতা এবং সবাইকে সুখী রাখার গুরুত্ব বুঝতে সাহায্য করে।

৩। সন্তানের স্ক্রিন টাইম সীমিত করুন

স্মার্টফোন কিংবা ল্যাপটপের স্ক্রিন টাইম কমালে তাদের সৃজনশীলতা, বাস্তব জীবনে সামাজিকীকরণ এবং ঘুমের মান উন্নত হয়। স্মার্টফোনের স্ক্রিনের বাইরে জীবনযাপন তাদেরকে আরও মনোযোগী, কল্পনাশক্তি সম্পন্ন এবং মানুষ-মুখী করে তোলে।

৪। শিষ্টাচার বজায় রাখতে শেখান

‘দয়া করে’ এবং ‘ধন্যবাদ’ বলার মতো শিষ্টাচারের প্রতি জোর দেওয়া শ্রদ্ধা এবং সহানুভূতি গড়ে তোলে। এসব অভ্যাস সামাজিকভাবে সচেতন এবং দয়ালু মানুষ তৈরি করতে সাহায্য করে।

৫। ‘না’ মেনে নিতে শেখান

শিশুদের ‘না’ গ্রহণ করতে শেখানো তাদের ধৈর্য, মানসিক নিয়ন্ত্রণ এবং সহিষ্ণুতা তৈরি করতে সাহায্য করে। এটি তাদের জীবনের হতাশাগুলো ধৈর্য্য এবং পরিপক্বতার সাথে মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত করে।

৬। ঘুমের নিয়ম বজায় রাখুন

একটি সঙ্গতিপূর্ণ ঘুমের রুটিন স্বাস্থ্য, মেজাজ এবং মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নত করে। এটি শৃঙ্খলা, মানসিক চাপ কমানো এবং স্কুলে ভালো পারফর্মেন্স নিশ্চিত করে।

৭। দায়িত্ব নিতে উৎসাহিত করুন

শিশুদের তাদের কাজের জন্য দায়ী করা সততা এবং দায়িত্ববোধ গড়ে তোলে। তারা বুঝতে পারে যে, কর্মের পরিণতি থাকে এবং ভুলগুলো থেকে শেখা গ্রহণযোগ্য।

৮। অজুহাত পরিহার করতে শেখান

অজুহাত দেওয়া কিংবা অন্যদের উপর দোষ চাপানোর পরিবর্তে তাদের দায়িত্বশীল হতে শেখান। এটি তাদের সমস্যা সমাধান দক্ষতা বাড়ায় এবং শক্তিশালী হয়ে উঠতে শেখায়। তাদের পরিপক্বতা এবং দৃঢ়তা বাড়ায়।

৯। পরিবারের সবাই একত্রে খাবার খাওয়া বাধ্যতামূলক করুন

একসাথে খাওয়া মানসিক নিরাপত্তা সৃষ্টি করে এবং শক্তিশালী পারিবারিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।

১০। কৃতজ্ঞতা প্রকাশের প্রতি গুরুত্ব দিন

ছোট বিষয়েও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে শিখালে চরিত্র ও ব্যক্তিত্ব দৃঢ় হয়। কৃতজ্ঞতার সাথে বড় হওয়া শিশুদের সহানুভূতির পরিমাণ বেশি, তারা জীবনকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করতে পারে।

 

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

রাকিব

×