
ছবি সংগৃহীত
আজকের যুগে “গুগল করে দেখি” বলা যতটা সহজ, একটা সময় ছিল যখন মানুষকে চলতে হতো শুধু কৌতূহল, কিছু নোটবুকের পাতা আর দিকভ্রান্ত হওয়ার সাহস নিয়ে। সেই সময়ের মানুষের নিচে ৯টি লক্ষণ তুলে ধরা হলো - যেগুলো স্পষ্ট করে দেয় আপনি গুগলের আগের যুগে বড় হয়েছেন।
ফোন নম্বর মুখস্থ ছিল
স্মার্টফোনের আগে বন্ধুদের বা আত্মীয়দের নম্বর মুখস্থ রাখাটা ছিল একধরনের দক্ষতা। এখনো হয়তো মনে পড়ে কোনো পুরনো নম্বর, যেটা আপনার স্মৃতি থেকে মুছেই যাচ্ছে না।
কাগজের ম্যাপ ব্যবহার করতে জানতেন
Google Maps তখন ছিল না। একটা বিশাল কাগজের ম্যাপ গুছিয়ে ভাঁজ করা নিজেই ছিল একটা যুদ্ধ! কিন্তু সেটাই দিকজ্ঞান আর আত্মনির্ভরতার পরিচয় দিত।
মানুষকে জিজ্ঞাসা করতেন
রান্না হোক বা চিকিৎসা—ইন্টারনেটের বদলে আপনি মা, দাদি বা প্রতিবেশীর শরণাপন্ন হতেন। এই মানবিক সংযোগই তখন ছিল তথ্যের প্রধান উৎস।
অদ্ভুত সমাধান দিতে পারতেন
টিভির অ্যান্টেনা ভাঙলে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল, ক্যাসেট ছিঁড়লে পেন্সিল—সব সমাধান হাতের কাছেই তৈরি হতো। তখন 'DIY' ছিল সত্যিকারের অভিজ্ঞতা।
তথ্য বাছাইয়ে দক্ষ
লাইব্রেরিতে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে তথ্য জোগাড় করতেন বলেই আপনি আজও সব কিছু বিশ্বাস করেন না। তথ্য যাচাই করার বুদ্ধিটা তখনই জন্মেছিল।
অফলাইনে বিরক্ত হওয়াটা ছিল সৃজনশীলতা
লম্বা গাড়ি সফর, একঘেয়ে দুপুর—এসব সময় ছিল কল্পনার খোরাক। এখন যেমন স্ক্রলিং করি, তখন গল্প বানিয়ে সময় কাটানো ছিল এক শিল্প।
ফিজিক্যাল মিডিয়ায় ভালোবাসা এখনো আছে
ভিডিও ক্যাসেট, বইয়ের গন্ধ বা মিক্সটেপের রোমাঞ্চ এখনো মন কাড়ে। যদিও ডিজিটাল মিডিয়া আছে, কিন্তু হাতে ধরা অভিজ্ঞতাটা অন্যরকম।
তৎক্ষণাৎ তথ্য পাওয়াকে সহজভাবে নেন না
ডায়াল-আপ ইন্টারনেটের দিন মনে পড়লে আজকের হাই-স্পিড সংযোগের জন্য কৃতজ্ঞ হতে মন চায়। অপেক্ষার অভ্যাস আপনাকে ধৈর্যশীল করেছে।
‘জানি না’ বলতে দ্বিধা করেন না
সব প্রশ্নের উত্তর তখন গুগলে ছিল না। তাই “জানি না, পরে বলব” বলা ছিল স্বাভাবিক। সেই অভ্যাস আজও আপনাকে বিনয়ী ও কৌতূহলী করে রেখেছে।
আশিক