ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২

গরমে প্রাণ ও মন বাঁচাবে এই ১১টি পানীয়

প্রকাশিত: ১৬:৪৬, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

গরমে প্রাণ ও মন বাঁচাবে এই ১১টি পানীয়

ছবি সংগৃহীত

গ্রীষ্মকাল এলেই সূর্যের তাপে হাঁসফাঁস অবস্থা। এই সময়ে শরীর ঠান্ডা রাখতে এবং পানিশূন্যতা এড়াতে চাই কিছু স্বাস্থ্যকর ও রিফ্রেশিং পানীয়। শুধুমাত্র জলই নয়, রয়েছে এমন কিছু ঘরোয়া পানীয়, যেগুলো শরীরকে ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি তাজা অনুভব করায়।

নিচে দেওয়া হলো গরমে স্বস্তি পাওয়ার মতো ১১টি অসাধারণ পানীয়ের তালিকা, যেগুলো ঘরেই সহজে বানানো যায়:

আম পান্না

কাঁচা আম, জিরা ও পুদিনা পাতার মিশ্রণে তৈরি এই পানীয় পশ্চিম ভারতের প্রিয়। এটি শুধু শরীর ঠান্ডা রাখে না, বরং গরমের ক্লান্তি কাটাতেও দারুণ কার্যকর।

জলজিরা

ভাজা জিরা গুঁড়ো ও ঠান্ডা জলের মিশ্রণে তৈরি হয় এই দারুণ পানীয়। হজমে সহায়ক এই পানীয় গ্রীষ্মের জন্য একদম পারফেক্ট।

সত্তু শরবত

বিহারের জনপ্রিয় এই পানীয় তৈরি হয় সত্তুর ময়দা, চিনি ও ঠান্ডা জলের মিশ্রণে। এটা পেট ভরানো এবং খুবই রিফ্রেশিং।

মশলা ছাছ (বাটারমিল্ক)

দই ও মশলার মিশ্রণে তৈরি এই পানীয় হজমশক্তি বাড়ায় এবং গরমে শরীর ঠান্ডা রাখে। এক গ্লাস ঠান্ডা ছাছ এককথায় চমৎকার!

নারকেলের জল

প্রাকৃতিক ইলেকট্রোলাইট সমৃদ্ধ এই পানীয় পানিশূন্যতা দূর করতে দুর্দান্ত। গরমে ক্লান্ত হলে এক গ্লাস ঠান্ডা নারকেলের জলই যথেষ্ট।

আখের রস

শক্তি বাড়াতে ও প্লাজমা তৈরিতে সাহায্য করে আখের রস। এতে পুদিনা পাতা মিশিয়ে নিলে স্বাদ হয় দ্বিগুণ।

লস্যি

মাখনের মতো মসৃণ দই-ভিত্তিক এই পানীয়ে ক্লাসিক, আম, পুদিনা বা বাদামি নানা স্বাদে বৈচিত্র্য আনা যায়।

যবের জল

প্রাচীনকাল থেকেই স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে জনপ্রিয়। যব, লবণ, মধু ও লেবুর সংমিশ্রণে তৈরি এই পানীয় শরীর ঠান্ডা রাখতে অসাধারণ।

নিম্বু পানি (লেমোনেড)

লেবু, পুদিনা, চিনি, নুন ও জলের মিশ্রণে তৈরি এই পানীয় খুব সহজেই বানানো যায় ও অত্যন্ত রিফ্রেশিং।

তরমুজের রস

এই গ্রীষ্মকালীন ফলটি অত্যন্ত হাইড্রেটিং। রস করে খেলে দ্রুত পানিশূন্যতা কাটে এবং মনও ঠান্ডা হয়।

ইমলি ধনিয়া শরবত

টক-মিষ্টি স্বাদের এই শরবত শুধু মুখরোচকই নয়, বরং ভিটামিন সি সহ নানা উপাদানে ভরপুর — এক গ্লাসেই শরীর ঠান্ডা ও মন খুশ।

আশিক

×