
ছবি সংগৃহীত
বর্তমান যুগে বিয়ের আগে ছেলেমেয়ে উভয়েরই মেডিকেল টেস্ট করানো দিন দিন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। একটি সুস্থ, নিরাপদ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এই উদ্যোগ শুধু স্বাস্থ্য সচেতনতা নয়, বরং একটি দায়িত্বশীল সিদ্ধান্তও।
চিকিৎসকরা বলছেন, বিয়ের আগে কিছু প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা অনেক জটিলতা ও ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে সাহায্য করে।
বিয়ের আগে যেসব টেস্ট জরুরি:
থ্যালাসেমিয়া স্ক্রিনিং: এটি একটি বংশগত রক্তরোগ। যদি দুজনই থ্যালাসেমিয়া ক্যারিয়ার হন, তাহলে ভবিষ্যতের সন্তান থ্যালাসেমিয়া মেজর হতে পারে, যা মারাত্মক জটিলতা তৈরি করে।
এইচআইভি ও অন্যান্য যৌনবাহিত রোগের (STD/STI) পরীক্ষা: এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি ও সি, সিফিলিস, গনোরিয়া ইত্যাদি রোগ গোপনে থাকতে পারে এবং পার্টনারের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। আগেভাগে এসব জানা ও চিকিৎসা করা জরুরি।
ব্লাড গ্রুপ ও Rh ফ্যাক্টর টেস্ট: স্বামী-স্ত্রীর Rh ফ্যাক্টর মিলে না গেলে ভবিষ্যতে গর্ভধারণে জটিলতা তৈরি হতে পারে। তাই আগেই জানা দরকার কে পজিটিভ, কে নেগেটিভ।
ইনফার্টিলিটি বা ফার্টিলিটি টেস্ট (ঐচ্ছিক): যদি দুজনেই সন্তান নিতে আগ্রহী হন এবং ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা চান না, তাহলে পুরুষের স্পার্ম কাউন্ট এবং নারীর ওভুলেশন সাইকেল বা ইউটেরাস/ফ্যালোপিয়ান টিউব চেক করিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
ডায়াবেটিস, থাইরয়েড ও হরমোন পরীক্ষা: এই সব রোগ অনেক সময় গোপনে শরীরে বাসা বাঁধে এবং গর্ভধারণ বা যৌন জীবনে সমস্যা তৈরি করে।
জেনেটিক বা পারিবারিক রোগের স্ক্রিনিং: বংশগত কোনো জটিলতা (যেমন হার্ট ডিজিজ, ক্যান্সার, মানসিক অসুস্থতা) থাকলে সেটা নিয়েও আগাম সতর্কতা দরকার।
আশিক