
ছবি: সংগৃহীত
নিজের ফেসবুক আইডি সাইবার এ্যাটাক বা হ্যাকিং থেকে বাঁচতে আমরা পারওয়ার্ড ব্যবহার করি। তবে সেই পাসওয়ার্ডটি কতটা নিরাপদ ও শক্তিশালী তা নিয়ে আমরা তেমন ভাবি না। এসব পাসওয়ার্ড হ্যাক করা হ্যাকারদের জন্য খুবই সহজ।
হ্যাকিং এর ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সতর্কতা হলো:
১. শক্তিশালী পাসওয়ার্ড হতে হলে বড় অক্ষর ছোট অক্ষর ও সংখ্যা মিলিয়ে হতে হবে কমপক্ষে আটটি সংখ্যার বা চিহ্নের। ৮ থেকে ১২ টি ক্যারেকটারের পাসওয়ার্ডকে সাধারণত শক্তিশালী পাসওয়ার্ড বলা হয়। এর মধ্যে দুই থেকে তিনটি সংখ্যা ও চিহ্ন থাকা নিরাপদ।
২. একটি পাসওয়ার্ড একাধিক এ্যাকাউন্টে ব্যবহার করবেন না এবং কারো সাথে প্রয়োজন ছাড়া শেয়ার করবেন না।
৩. ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, ইন্সটাগ্রাম বা টুইটারে লোভনীয় কোনো অফার দেখলে তাতে ক্লিক করার আগে যাচাই করে নিন। যে বা যারা পাঠিয়েছে তাদের পরিচয় না জেনে সেই লিঙ্ক বা সাইটে ঢুকবেন না। এগুলো হতে পারে আপনার ব্যক্তিগত বা আর্থিক এ্যাকাউন্ট হ্যাক করার ফাঁদ।
৪. ফেসবুকে এমন কারো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করবেন না যাকে আপনি ব্যক্তিগতভাবে চেনেন না। হ্যাকাররা এই পদ্ধতিতে স্যাম মেসেজ করে আপনার এ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে পারে। তাছাড়া বিব্রতকর পরিস্থিতিতেও ফেলতে পারে।
৫. কাজের সময় আমরা অনেক সাইটেই ঢুকি। এসব সাইটের পপ অ্যাপস থাকে। এ ধরণের অ্যাপস বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্প্যাম হয়ে থাকে। এসব বিষয়ে সচেতন থাকুন।
৬. লগ ইন এ্যালার্ট চালু রাখতে হবে। যেকোনো ডিভাইসে লগইন করার সময় তা সেভ করে রাখবেন না।
৭. কাজ শেষে অফিস বা অন্যান্য জায়গায় এ্যাকাউন্ট লগ আউট হয়েছে কি না একাধিকবার চেক করুন।
৮. রিকভারি ইমেইল রাখুন এবং নিজের এ্যাকাউন্টের সাথে কানেক্টেড রাখুন। এতে আপনার ইমেইল হ্যাঁ হলে তা উদ্ধার করতে পারবেন এবং জরুরি ওয়েবসাইটে ঢুকতে পারবেন।
৯. বাড়তি নিরাপত্তার জন্য ফেসবুক ও অন্যান্য অ্যাপসে টু স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু রাখুন।
১০. প্রয়োজন ছাড়া লোকেশন সার্ভিস বন্ধ রাখা।
মায়মুনা