ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২

এই ৮টি লক্ষণ বলছে, আপনি থেমে আছেন ভুল জায়গায়

প্রকাশিত: ১৬:৫৪, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

এই ৮টি লক্ষণ বলছে, আপনি থেমে আছেন ভুল জায়গায়

ছবি: প্রতীকী

জীবন মানেই কি কেবল কাজ, দায়িত্ব আর ক্লান্তি? নাকি এর বাইরেও আছে আপনার স্বপ্ন, সম্ভাবনা আর আত্মবিকাশের এক বিশাল জগৎ? আজকের বাস্তবতায় অনেকেই হয়তো নিজেকে প্রতিদিনের কাজের চাপে হারিয়ে ফেলছেন। কেউ আবার টিকে থাকার জন্য বেঁচে আছেন। বিশেষজ্ঞরা একে বলছেন সারভাইভাল মোড, যেখানে মানুষ শুধু বেঁচে থাকার জন্য কাজ করে, কিন্তু প্রকৃত অর্থে বাঁচে না।

সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে মার্কিন লেখিকা মেলোডি গ্লাস আটটি লক্ষণের কথা বলেছেন, যা দেখে বোঝা যায় কেউসারভাইভাল মোড’- আছেন কি না। এসব লক্ষণ যদি আপনার মাঝেও দেখা যায়, তবে বুঝতে হবে, আপনি নিজেই নিজের সম্ভাবনার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

সারভাইভাল মোডের লক্ষণগুলো কী কী?

চাপ, কিন্তু ফল নেই
আপনি কি সারাদিন ব্যস্ত থাকেন, অথচ দিনের শেষে মনে হয় কিছুই করলেন না? এটি প্রথম প্রধান লক্ষণ। মানসিক চাপ আপনাকে নিঃশেষ করে, কিন্তু তা ফলপ্রসূ হয় না। ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস কমতে থাকে।

স্বপ্ন দেখতেও ভয়
নিজের স্বপ্নগুলোকে বারবারসময় নেইবাএখন দায়িত্ব আছেবলে দূরে ঠেলে দেন? এটি এক ধরনের আত্মপ্রতারণা। দীর্ঘমেয়াদে স্বপ্নহীন জীবন মানুষকে নিঃশেষ করে দেয়।

ঝুঁকিকে ভয় পাওয়া
নতুন কিছু শুরু করতে ভয়? নিজের দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করুন। নয়তো সম্ভাবনার পথ আটকে যায়। অথচ পরিবর্তনের শুরু হয় সাহসী এক পদক্ষেপ থেকেই।

প্রশংসা গ্রহণ করতে না পারা
কেউ প্রশংসা করলে আপনি সেটা বিশ্বাস করতে পারেন না? বরং নিজেকে ছোট ভাবেন? এটি আত্মমূল্যায়নের ঘাটতির স্পষ্ট ইঙ্গিত।

নিজেকে সময় না দেওয়া
দিনশেষে নিজের সঙ্গে একটু সময় কাটানো, চিন্তা করা বা কিছু লিখে ফেলাএই অভ্যাসগুলো আত্মিক সুস্থতার জন্য খুব জরুরি।

অন্যের স্বীকৃতির উপর নির্ভরতা
সবসময় যদি ভাবেন—“অন্যরা খুশি হলে তবেই আমি ঠিক আছি”, তবে আপনি নিজের চেয়ে অন্যকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। এতে ধীরে ধীরে নিজের ইচ্ছা লক্ষ্য হারিয়ে যায়।

অতিরিক্ত কাজ, কম তৃপ্তি
কাজের ভিড়ে যদি মনে হয় কিছুই করছি না, তাহলে সেটি বিপদের ঘণ্টা। ব্যস্ততা মানে কাজ নয়।

অর্জন উপভোগ না করা
ছোট ছোট সাফল্য উদ্‌যাপন না করলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে না। থেকেই আসে নতুন প্রেরণা, নতুন স্বপ্ন।

এখন করণীয় কী?

বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রথমেই দরকার নিজেকে বোঝা এই লক্ষণগুলো চিনে নেওয়া। এরপর ছোট ছোট ধাপে নিজেকে পরিবর্তনের দিকে ফিরিয়ে নেওয়া, নিজের জন্য সময় রাখা, লক্ষ্য নির্ধারণ করা, ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা তৈরি করা এবং আত্ম-উন্নয়নমূলক অভ্যাস গড়ে তোলা।

জীবন মানেই শুধু সারভাইভাল নয়। নিজেকে বিকশিত করা, নিজের স্বপ্নের পথে এগিয়ে যাওয়া, এবং নিজের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা। এই তিনটি জিনিসই পারে আপনাকে কেবল বাঁচিয়ে রাখার জীবন থেকে সত্যিকারের বেঁচে থাকা জীবন-এর পথে নিয়ে যেতে।

 

সোর্স: https://dmnews.com/dna-8-signs-youre-capable-of-much-more-than-you-think-youre-just-stuck-in-survival-mode/

রবিউল হাসান

×