
ছবি: সংগৃহীত
ভারতের জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন মাঠে যেমন ধৈর্যশীল, তেমনি মনোসংযোগেও অতুলনীয়। এর পেছনে রয়েছে নিয়মিত ধ্যান ও মানসিক প্রশিক্ষণ। সঞ্জু তার জীবনে এমন সাতটি ধ্যানচর্চা অনুসরণ করেন যা তাকে চাপমুক্ত থাকতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সে ধ্যানগুলো কী কী।
১. গভীর শ্বাসপ্রশ্বাস:
সঞ্জুর দিনের শুরু হয় ধীর ও নিয়ন্ত্রিত শ্বাসপ্রশ্বাস দিয়ে। এটি তার দেহ ও মনকে স্থির রাখতে সাহায্য করে এবং ম্যাচ চলাকালীন চাপ মোকাবেলায় কার্যকর ভূমিকা রাখে।
২. সচেতন মনোযোগ:
মাঠে ও মাঠের বাইরে প্রতিটি মুহূর্তে নিজেকে সচেতন রাখার চর্চা করেন সঞ্জু। এই অভ্যাস তাকে প্রতিপক্ষের চাল বোঝার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৩. নির্দেশিত কল্পনা:
ম্যাচের আগে নিজের সফল পারফরম্যান্স কল্পনা করেন তিনি। কোচ বা মেন্টরের নির্দেশনায় এমন কল্পনাভিত্তিক ধ্যান মনোসংযোগ ও আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
৪. দেহ স্ক্যান ধ্যান:
প্রতিদিন কিছুটা সময় নিয়ে দেহের প্রতিটি অংশ অনুভব করে ধ্যান করেন সঞ্জু। এটি দেহ ও মনের মধ্যে সংযোগ গড়ে তোলে এবং যেকোনো অস্বস্তি বা চাপ চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।
৫. মন্ত্র জপ ধ্যান:
ম্যাচের আগে কিংবা বিশ্রামের সময় নিজের পছন্দের মন্ত্র বা বাক্য বারবার জপ করেন। এটি তার মনকে কেন্দ্রীভূত রাখে এবং ইতিবাচক শক্তি জোগায়।
৬. মৈত্রী ধ্যান:
নিজের প্রতি এবং অন্যদের প্রতি সহানুভূতি ও ভালোবাসা প্রকাশ করার ধ্যান চর্চা করেন সঞ্জু। এই ধ্যান তাকে খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে সম্মানজনকভাবে গ্রহণ করতে সহায়তা করে।
৭. শ্বাসের সাথে চলন:
যোগব্যায়াম বা হালকা শরীরচর্চার সময় শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে চলন সমন্বয় করেন। এতে দেহে শক্তি বজায় থাকে এবং মন সতেজ থাকে।
শুধু শারীরিক দক্ষতাই নয়, মানসিক প্রস্তুতিও একজন খেলোয়াড়কে তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে। সঞ্জু স্যামসনের ধ্যানচর্চা আমাদের শেখায়, স্থির মনই কঠিন পরিস্থিতিতে সঠিক সিদ্ধান্তের চাবিকাঠি। খেলোয়াড় হোন বা সাধারণ মানুষ- এই চর্চাগুলো সবার জন্য উপকারী।
মেহেদী হাসান