
ছবি: প্রতীকী
চুলের গঠন মসৃণ করা থেকে শুরু করে চুল পড়া রোধ— খেজুরের উপকারিতা সত্যিই চমকপ্রদ। আজকাল বাজারে নানা রকম চুলের প্রোডাক্ট পাওয়া যায়, তবে কোনটা আপনার চুলের জন্য উপযুক্ত তা বোঝা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। তবে প্রকৃতিতেই এমন কিছু উপাদান আছে যেগুলো খুব কার্যকর এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত।
এই তালিকায় খেজুরও একটি গোপন রত্ন, যা অনেকেই জানেন না। অথচ এটি চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে দারুণভাবে সাহায্য করে।
খেজুরের উপকারিতা কী কী?
চুল গজাতে সাহায্য করে
খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি, সি ও ই।
-
এই ভিটামিনগুলো চুল গজাতে সাহায্য করে,
-
স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়,
-
চুলের গোঁড়া শক্ত করে তোলে।
ভিটামিন ই (E) চুলে অতিরিক্ত সুরক্ষা দেয়, স্ক্যাল্পের তৈলাক্ততা নিয়ন্ত্রণ করে, এবং আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
আয়রনের ঘাটতি চুল পড়ার বড় কারণ— যা প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার মাধ্যমে সহজেই পূরণ করা সম্ভব।
হাইড্রেশন বা আর্দ্রতা বৃদ্ধি করে
খেজুরে প্রাকৃতিক শর্করা ও জলীয় উপাদান বেশি থাকায়-
-
স্ক্যাল্প ও চুলের শুষ্কতা দূর করে,
-
আর্দ্রতা ধরে রাখে,
-
চুলের টেক্সচার উন্নত করে,
-
চুলের ডগা ফেটে যাওয়া কমায়।
কীভাবে চুলের যত্নে খেজুর ব্যবহার করবেন?
১. প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে
পদ্ধতি:
➤ রাতভর কিছু খেজুর পানিতে ভিজিয়ে রাখুন,
➤ সকালে পেস্ট বানিয়ে মাথার স্ক্যাল্পে লাগান,
➤ ৩০ মিনিট রেখে শুধু পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ফলাফল: চুল হবে কোমল, চকচকে ও সহজে আঁচড়ানো যাবে।
২. হেয়ার মাস্ক হিসেবে
পদ্ধতি:
➤ কয়েকটি খেজুর ব্লেন্ড করে এর সঙ্গে ১ টেবিল চামচ মধু ও অলিভ অয়েল মেশান,
➤ মিশ্রণটি চুলে, বিশেষ করে ডগায় লাগান,
➤ ৩০ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ফলাফল: ড্যামেজড চুল মেরামত হয়, চুল হয় আরও শক্ত ও লম্বা।
৩. খেজুর-ইনফিউজড হেয়ার অয়েল
পদ্ধতি:
➤ গরম নারকেল তেলের মধ্যে কিছু খেজুর সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন,
➤ সকালে আঙুলে নিয়ে হালকা করে স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করুন আধা ঘণ্টা।
ফলাফল: স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, চুল পায় নতুন প্রাণ।
খেজুর শুধু সুস্বাদু ফলই নয়, এটি চুলের জন্য একেবারে প্রাকৃতিক ও নিরাপদ একটি সমাধান। আপনার দৈনন্দিন হেয়ার কেয়ার রুটিনে খেজুরের ব্যবহার শুরু করুন এবং লম্বা, ঘন, স্বাস্থ্যবান ও ঝলমলে চুলের অধিকারী হোন!
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
রাকিব