ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

কীভাবে নিজের প্রাপ্য সম্মান বজায় রাখবেন, জানেন কি?

প্রকাশিত: ১৭:১০, ১২ এপ্রিল ২০২৫

কীভাবে নিজের প্রাপ্য সম্মান বজায় রাখবেন, জানেন কি?

ছবিঃ সংগৃহীত

আমাদের চারপাশে এমন অনেকেই আছেন, যারা জানেন না কীভাবে অন্যের তাচ্ছিল্যের জবাব দেবেন। কীভাবে নিজের প্রাপ্য সম্মান আদায় করে নেবেন? যার ফলে দিনের পর দিন অন্যের খারাপ আচরণ নিরবে সহ্য করতে হয় তাদের।

তবে মনোবিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনকিছু তথ্য, যার যথাযথ প্রয়োগে উভয়ের সম্মান বজায় রেখে চলা সম্ভব বলে ধারণা করছেন তারা। কেউ যদি আপনার সঙ্গে তাচ্ছিল্যের সুরে কথা বলে, তাহলে কিছু সংলাপের মাধ্যমে কীভাবে আপনি শালীনভাবে সীমারেখা টানতে পারেন, নিচে তার কয়েকটি কৌশলই করা হয়েছে।

‘আন্তব্যক্তিক সম্পর্কে উভয়ের মর্যাদা বজায় রাখুন’

যেকোন সম্পর্ক, সেটা ব্যক্তিগত হোক বা পেশাগত, টিকিয়ে রাখতে সবচেয়ে জরুরি হলো সুন্দর যোগাযোগ। তবে সেটা যদি শ্রদ্ধাশীল না হয়, তাহলে সেই সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হবে না। তাই সম্পর্কের ক্ষেত্রে সম্মানের বিষয়টি মাথায় রাখুন।

‘আসুন এই বিষয়ে পরে কথা বলি’

যখন কেউ আপনার সাথে উগ্র আচরণ করছে বলে মনে হবে, তখন উপরের বাক্যটি বিনিময় করুন। এটি সরাসরি এবং স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়, আপনি তাচ্ছিল্য সহ্য করেন না। এতে করে তারা আপনাকে বুঝতে পারবে ও নিজেদের আচরণ শুধরে নেবে।

‘আপনি কী বোঝাতে চেয়েছেন সেটা অনুগ্রহ করে আরেকবার বলবেন?’

এই প্রশ্নটি শুনে আপনার পাশের মানুষটি চিন্তা করতে বাধ্য হবে, তিনি যা বলেছেন তা বোধহয় ঠিক হয়নি। ফলে তারা পরেরবার কথা বলার সময় শ্রদ্ধাশীল থাকবেন।

‘এখন নয়, আপনি একটু স্বাভাবিক হলে আমরা এ ব্যাপারে কথা বলব

এটি একটি ভদ্র উপায় কাউকে বোঝানোর যে, শান্ত হয়ে, গুছিয়ে কথা বলাটা জরুরি। সম্মানজনক সংলাপই হলো স্বাস্থ্যকর আলোচনার মূল চাবিকাঠি।

‘আমি এর উত্তরে কিছু বলতে চাই না’  

এই বাক্যটি অপর ব্যক্তিকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয়, আপনি অপমান সহ্য করেন না। এটি এমন একটি সীমারেখা যা আত্মসম্মান এবং মানসিক শান্তি রক্ষা তৈরি করে।

বলুন, আমি এই আলোচনায় অংশ নিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি না, এবং দ্রুত ওই স্থান ত্যাগ করুন’

যদি আপনি শান্তভাবে বলার পরও অসম্মান চলতেই থাকে, তবে সরে যাওয়াটাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। এটি কোনো দুর্বলতা নয় বরং মানসিক পরিপক্কতার পরিচয়। একে বলা হয় ‘boundary reinforcement’, যা আপনার মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে খুবই জরুরি।

সূত্রঃ টাইমস এন্টারটেইনমেন্ট

আরশি

×