
ছবি: প্রতীকী
বিয়ে হলো একটি প্রচলিত সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তি যার মাধ্যমে দুজন মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। একটি সফল বৈবাহিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে দরকার ধারাবাহিক চেষ্টা, ধৈর্য এবং একে অন্যকে বুঝতে পাড়ার মনোভাব।
অনেক সুখী দম্পতি আছেন, যারা হয়তো মুখে কিছু বলেন না, কিন্তু কিছু অলিখিত নিয়ম অনুসরণ করে সম্পর্কটাকে শক্ত করে গড়ে তোলেন। চলুন দেখে নিই এমনই কিছু নিয়ম:
১. একে অপরকে সম্মান করুন
ভালোবাসা সম্পর্কের শুরুতে গুরুত্বপূর্ণ হলেও দীর্ঘমেয়াদে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে সবচেয়ে প্রয়োজন সম্মান। সুখী দম্পতিরা জানেন, সব বিষয়ে একমত হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু তারা কখনোই একে অপরের প্রতি অসম্মান দেখান না, এমনকি ঝগড়ার সময়ও না। এতে করে তারা সহজে নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারেন এবং সমস্যার সমাধানে পৌঁছাতে পারেন।
২. একে অপরকে ছোট করবেন না
সুখী দম্পতিরা একে অপরের পাশে থাকেন, বিশেষ করে অন্যদের সামনে। এর মানে এই না যে, তারা ঝগড়া করেন না বা সবকিছুতে একমত হন। তবে তারা নিজেদের মতভেদগুলো ব্যক্তিগতভাবে ও একান্তে আলোচনা করেন। অন্যদের সামনে তারা সবসময় একসাথে, একটিমাত্র দল হিসেবে নিজেদের উপস্থাপন করেন।
৩. ছোট ছোট যত্নই বড় ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়
বড় রোমান্টিক সারপ্রাইজ হয়তো চোখে পড়ে বেশি, কিন্তু সত্যিকার ভালোবাসা টিকে থাকে ছোট ছোট যত্নে। যেমন- সকালে সঙ্গীর জন্য চা বানানো, একটা ছোট্ট চিরকুটে ভালোবাসার বার্তা রেখে যাওয়া, অথবা শুধু জিজ্ঞেস করা— ‘তোমার দিনটা কেমন গেল?’ এই ছোট কাজগুলোই বলে দেয়, ‘আমি তোমার খেয়াল রাখি, তোমার যত্ন নিই।’
৪. একে অপরকে নিজের মতো থাকতে দিন
সুখী দম্পতিরা বোঝেন, একজন মানুষকে ভালোবাসা মানে তার পুরোটা দখলে রাখা নয়। মাঝে মাঝে সঙ্গীর একা থাকার প্রয়োজন হতে পারে, এবং তারা সেটাকে সম্মান করেন। তারা জানেন, প্রত্যেকে নিজের মতো করে বেড়ে উঠতে পারলেই সম্পর্কটা আরও শক্তিশালী হয়।
৫. আগেভাগেই খোঁজ নেওয়ার অভ্যাস
টেকসই সম্পর্কগুলোতে দেখা যায়, একজন অন্যজনের খোঁজ নেন, এমনকি যখন সবকিছু স্বাভাবিকই মনে হয়। ছোট্ট একটা প্রশ্ন—‘তুমি আজ কেমন আছো?’ বা ‘দিনটা কেমন গেল?’ এই প্রশ্নগুলো সঙ্গীকে বুঝিয়ে দেয় যে, সে গুরুত্বপূর্ণ, তার অনুভূতির দাম আছে। সমস্যা সমাধান না করলেও, শুধু মনোযোগ দিয়ে শোনা মানেই অনেক কিছু।
সুখী দম্পতিরা শুধু ভালোবাসেন না, তারা একে অপরকে সম্মান করেন, ছোট ছোট মুহূর্তকে গুরুত্ব দেন এবং একে অপরের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। সর্বোপরি, তারা একে অপরকে সত্যিকার অর্থে বোঝার চেষ্টা করেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
রাকিব