
এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন অ্যাপল সিডার ভিনেগার (ACV) পান করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন এক কর্মজীবী মা। খাবারে নিয়মিত ব্যবহারের পাশাপাশি এবার প্রতিদিন পান করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি, মূলত শক্তি বাড়ানো ও হজমে সাহায্য পাওয়ার আশায়।
কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যাপল সিডার ভিনেগার মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি, আলঝেইমার প্রতিরোধ এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখায় ভূমিকা রাখতে পারে।
ডা. প্যাট্রিসিয়া মিলস জানিয়েছেন, এটি নিওসিন মেটাবলিজম বাড়িয়ে বিষণ্নতা কমাতে সাহায্য করতে পারে এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের কারণে আলঝেইমার ঝুঁকি কমাতে পারে।
ডা. অ্যামি শাহ বলেন, কাঁচা ACV-তে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়িয়ে হজম এবং মানসিক স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
কীভাবে খেতে হবে?
কখনোই সরাসরি ACV খাওয়া যাবে না। ১-২ টেবিল চামচ ভিনেগার অন্তত ৮ আউন্স পানিতে মিশিয়ে খেতে হবে।
ধীরে ধীরে শুরু করতে হবে—প্রথমে ১ চা চামচ দিয়ে শুরু করে সহ্য হলে বাড়ানো যাবে।
ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ খেলে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ জরুরি।
এক সপ্তাহের অভিজ্ঞতা:
প্রথম দিনেই তিনি লক্ষ্য করেন, পাস্তা খাওয়ার পরেও তেমন গ্যাস্ট্রিক বা ফোলাভাব হয়নি।
তৃতীয় দিনে বেশি মিষ্টি খেলেও ক্লান্তি বা শারীরিক ঝিমঝিম ভাব আসেনি।
পঞ্চম ও ষষ্ঠ দিনে এনার্জি কিছুটা ভালো লেগেছে, তবে রাতের ঘুম খারাপ হলে প্রভাব পড়েছে পরদিন।
সপ্তাহ শেষে, তিনি মনে করেন ACV সরাসরি শক্তি না বাড়ালেও ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখার মাধ্যমে মেজাজ ও ক্লান্তিতে সহায়ক হতে পারে।
তাহলে ACV খাবেন কি?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যাপল সিডার ভিনেগারে কিছু প্রমাণিত উপকারিতা থাকলেও এটি কোনও জাদুকরি উপাদান নয়। ভালো ঘুম, পর্যাপ্ত পানি পান এবং সুষম খাবারই সুস্থতার আসল চাবিকাঠি।
তবে কেউ যদি এটি ভালোভাবে সহ্য করেন এবং উপকার পান, তবে এটি রুটিনে রাখা যেতে পারে—শুধু যেন পরিমিতি ও সঠিক নিয়ম মেনে হয়।
অ্যাপল সিডার ভিনেগার প্রতিদিন পান করলে সামান্য উপকার পেতে পারেন—বিশেষত হজম, রক্তে চিনি নিয়ন্ত্রণ এবং সামান্য মেজাজ ঠিক রাখায়। তবে এটি শক্তির আধার নয়, বরং জীবনযাপনের একটি সহায়ক অনুষঙ্গ।
রাজু