ছবি: সংগৃহীত।
বর্তমান যুগে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের কাছে ওজন নিয়ন্ত্রণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। অনেকেই ব্যায়াম ও ডায়েটের মধ্যে দিয়ে ওজন কমানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু অনেক সময় ছোট কিছু খাদ্য উপাদানেও থাকতে পারে দারুণ কার্যকরী সমাধান। তেমনই একটি সুপারফুড হচ্ছে চিয়া বীজ। ছোট ছোট এই বীজগুলিতে রয়েছে ফাইবার, প্রোটিন, ওমেগা-৩ এবং নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট—যা প্রাকৃতিকভাবেই ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে চিয়া বীজ ৮টি উপায়ে ওজন কমানোর জন্য উপকারী ভূমিকা রাখে।
১. দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা অনুভব করায়
চিয়া বীজ পানির সংস্পর্শে এসে জেলির মতো আকার ধারণ করে। এতে পেট ভরা অনুভূতি দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং অপ্রয়োজনীয় ক্ষুধা কমে যায়।
২. ফাইবার সমৃদ্ধ
চিয়া বীজে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার থাকে, যা হজম প্রক্রিয়া ধীর করে দেয় এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে—ফলে কম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে ওঠে।
৩. প্রোটিনের ভালো উৎস
প্রোটিন মেটাবলিজম বাড়ায় এবং পেশি গঠনে সাহায্য করে। চিয়া বীজে থাকা প্রাকৃতিক প্রোটিন ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে ও পেশি ক্ষয় প্রতিরোধ করে।
৪. ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। চিয়া বীজ রক্তে গ্লুকোজ ধীরে ছাড়তে সাহায্য করে, ফলে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৫. ইনফ্লেমেশন বা ফোলাভাব কমায়
চিয়া বীজের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান শরীরের ইনফ্লেমেশন কমিয়ে মেটাবলিজম উন্নত করে, যা ওজন কমানোর পথে সহায়ক।
৬. হজম শক্তি বাড়ায়
চিয়া বীজ হজম প্রক্রিয়াকে মসৃণ করে এবং পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। হজম ভালো থাকলে ওজন নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়।
৭. ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর
ওমেগা-৩ শরীরের ফ্যাট বার্নিং প্রসেসকে উন্নত করে এবং ফ্যাট জমার হার কমায়, যা ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কার্যকর।
৮. সুস্থ স্ন্যাকস হিসেবে বিকল্প
চিয়া বীজ দিয়ে তৈরি পুডিং বা স্মুদি একটি স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হিসেবে খাওয়া যায়, যা অন্যান্য উচ্চ-ক্যালোরিযুক্ত খাবারের বিকল্প হিসেবে কাজ করে।
চিয়া বীজ কোনো ম্যাজিক ফুড নয়, তবে এটি একটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক সহায়ক, যা সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও লাইফস্টাইলের সাথে মিলিয়ে ওজন কমাতে কার্যকর হতে পারে। নিয়মিত ও পরিমিতভাবে চিয়া বীজ গ্রহণ করলে আপনি পেতে পারেন সুস্থ, ঝরঝরে ও ফিট শরীরের চাবিকাঠি।
নুসরাত
