
ছবি: সংগৃহীত
সকালের শুরু যেমন হবে, শিশুদের পুরো দিনের মেজাজও তেমন হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চাপ সৃষ্টি করার বদলে ভালোবাসা ও সহানুভূতির মাধ্যমে দিনের শুরু হওয়া উচিত। সকালে শিশুদের উপর কিছু বিষয় চাপিয়ে না দিলে তারা আত্মবিশ্বাস ও স্বস্তি নিয়ে দিন শুরু করতে পারে। নিচে উল্লেখ করা হলো, সকালে যেসব বিষয় জোর করে করানো উচিত নয়:
১. পরিপাটি করে সাজানো
চুল, পোশাক বা জুতো একেবারে নিখুঁত রাখার চেষ্টা শিশুদের জন্য চাপের কারণ হতে পারে। বরং আরামদায়ক পোশাক পরতে দিন এবং সীমার মধ্যে থেকে নিজেদের মতো করে নিজেকে প্রকাশ করতে দিন।
২. ঘুম থেকে উঠেই হাসতে বলা
জাগার সঙ্গে সঙ্গেই হাসি আশা করা বাস্তবসম্মত নয়। বড়দের মতো শিশুরাও ঘুম থেকে জেগে পুরোপুরি সজাগ হতে সময় নেয়। ধৈর্য ধরুন এবং তাদের নিজস্ব গতিতে সকালে মানিয়ে নিতে দিন।
৩. একসাথে অনেক কাজ করানো বা তাড়াহুড়ো করা
একসাথে খাওয়া, পোশাক পরা, ব্যাগ গোছানো—এসব একত্রে করানো শিশুদের উপর চাপ ফেলে। ধাপে ধাপে সাহায্য করুন, যাতে তারা সহজেই কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারে।
৪. সকালে পড়াশোনার পরিবেশ তৈরি করা
সকালের নাশতা সময়ে অঙ্ক বা বানান চর্চা করাবেন না। নাশতা যেন আরামদায়ক ও সহায়ক হয়, স্কুলের চাপের বাড়তি অংশ নয়।
৫. হঠাৎ করে জাগিয়ে তোলা
অবিবেচকভাবে জাগিয়ে তোলা শিশুদের মেজাজ খারাপ ও শরীর অবসন্ন করে তোলে। ধীরে ধীরে জাগানোর সময় দিন, যেন তারা স্বাভাবিকভাবে নতুন দিনে মানিয়ে নিতে পারে।
৬. দ্রুত রুটিন শেষ করতে বাধ্য করা
চটজলদি ব্রাশ, জামাকাপড় পরা বা খাওয়া—এসব তাড়াহুড়ো করে করালে শিশুদের ওপর চাপ পড়ে। পর্যাপ্ত সময় দিন, যাতে তারা নিজস্ব গতিতে রুটিন শেষ করতে পারে এবং আত্মনির্ভরতা গড়ে তুলতে পারে।
৭. আবেগি সংযোগ এড়িয়ে যাওয়া
ভোরবেলার ব্যস্ততার মাঝে একটুখানি আদর বা একটি ‘শুভ সকাল’ না বলা একটি সুন্দর সম্পর্কের সুযোগ নষ্ট করে। ছোট্ট এই মনোযোগ শিশুকে ভালোবাসা ও সুরক্ষার অনুভূতি দেয়।
৮. খুব কঠিন সময়সূচি মেনে চলা
অত্যন্ত কড়াকড়ি সময়সূচি শিশুদের জন্য চাপের কারণ হতে পারে। একটু নমনীয়তা রাখুন যাতে সকালে দ্বন্দ্ব বা মানসিক চাপ তৈরি না হয়।
সকালের সময়টা বিশৃঙ্খল না হয়ে বরং হতে পারে এক শান্তিপূর্ণ, ভালোবাসাময় সময়। ধৈর্য ও সহানুভূতির মাধ্যমে দিন শুরু করলে পরিবারে তৈরি হবে এক ইতিবাচক পরিবেশ।
সূত্র: https://timesofindia.indiatimes.com/life-style/parenting/web-stories/10-things-parents-should-not-force-kids-to-do-in-the-morning/photostory/120128379.cms
আবীর