
ছবি: সংগৃহীত।
ত্বক আমাদের শরীরের সবচেয়ে বড় অঙ্গ, আর বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই ত্বকেই প্রথম বয়সের ছাপ পড়ে। বয়স, পরিবেশ দূষণ, অনিয়মিত জীবনযাপন এবং পর্যাপ্ত পানির অভাব—সবকিছু মিলিয়ে ত্বক তার প্রাকৃতিক দৃঢ়তা হারায়। তবে সুসংবাদ হলো, প্রাকৃতিক কিছু উপাদান ব্যবহার করে ত্বককে আবারো দৃঢ় ও টানটান রাখা সম্ভব। এর মধ্যে বিশেষভাবে কার্যকর হচ্ছে কিছু নির্দিষ্ট তেল। এই তেলগুলো কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়, ত্বকের ইলাস্টিসিটি ধরে রাখে এবং বয়সের ছাপ হ্রাস করে।
চলুন জেনে নিই, ত্বক টানটান রাখতে সহায়ক ৭টি সেরা তেল সম্পর্কে—
১. আর্গান অয়েল
মরোক্কো থেকে আগত এই তেলটি "লিকুইড গোল্ড" নামেও পরিচিত। এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন E, ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনে সহায়ক এবং বলিরেখা কমায়।
২. জোজোবা অয়েল
জোজোবা তেল ত্বকের প্রাকৃতিক তেলের সঙ্গে অনেকটাই মিল রাখে। এটি সহজে শোষিত হয় এবং ত্বককে গভীর থেকে হাইড্রেট করে, যার ফলে ত্বক হয় আরও টানটান ও কোমল।
৩. রোজহিপ অয়েল
রোজহিপ সীড থেকে তৈরি এই তেলে রয়েছে রেটিনয়িক অ্যাসিড ও ভিটামিন C। এটি ত্বকের পুনর্গঠন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে।
৪. নারকেল তেল
গৃহস্থালি ব্যবহারে বহুল পরিচিত নারকেল তেল শুধু চুল নয়, ত্বকের যত্নেও দুর্দান্ত। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণাবলি, যা ত্বককে মসৃণ ও টানটান করে তোলে।
৫. অ্যাভোকাডো অয়েল
অ্যাভোকাডো তেল ত্বকের গভীরে গিয়ে কাজ করে এবং ভিটামিন A, D ও E সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি ত্বকের দৃঢ়তা বাড়াতে অসাধারণ ভূমিকা রাখে।
৬. আলমন্ড অয়েল (বাদামের তেল)
বাদামের তেলে রয়েছে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন E ও ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় এবং রোদে পোড়া দাগ হালকা করতে সাহায্য করে।
৭. গ্রেপসিড অয়েল
আঙ্গুরের বিচি থেকে তৈরি এই হালকা তেলটি ত্বকের ছিদ্র বন্ধ না করেই হাইড্রেট করে এবং ত্বকের কোলাজেন স্তরকে শক্তিশালী করে।
ত্বকের দৃঢ়তা ধরে রাখার জন্য কেমিক্যালযুক্ত পণ্যের পরিবর্তে প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার একটি চমৎকার বিকল্প হতে পারে। তবে ব্যবহারের আগে একটি প্যাচ টেস্ট করে নেওয়া উচিত, বিশেষ করে যদি আপনার ত্বক সংবেদনশীল হয়। নিয়মিত যত্নে ও সঠিক তেল ব্যবহারে ত্বক আবার ফিরে পেতে পারে তার পুরোনো উজ্জ্বলতা ও টানটান ভাব।
নুসরাত