
প্রতীকী ছবি
আজকাল বেশিরভাগ মানুষই চিন্তা করেন কীভাবে সুখী হওয়া যায়? অথবা কীভাবে সুখকে আরও বেশি দীর্ঘস্থায়ী করা যায়? সুখ নামের এই সোনার হরিণ নিয়ে আজ পর্যন্ত গবেষণা হয়েছে অনেক। ইতিমধ্যেই নিউরোসায়েন্স দ্বারা প্রমাণিত, আমাদের মস্তিষ্কে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে এবং দীর্ঘমেয়াদে সুখী থাকতে কিছু অভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ অভ্যাসগুলো আয়ত্তে রাখুন।
১. কৃতজ্ঞতা চর্চা করুন
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ মানসিক চাপ কমায় ও ইতিবাচক আবেগ বাড়ায়। তাই প্রতিদিন ৩-৫টি ধন্যবাদ সূচক জিনিস নোট করুন। পাশাপাশি উপযুক্ত জায়গায় শব্দগুলো ব্যবহার করুন। এটা আপনাকে ইতিবাচক থাকতে সহায়তা করবে।
২. নিয়মিত শরীরচর্চা করুন
ব্যায়াম অর্থাৎ শরীরচর্চা ডোপামিন ও সেরোটোনিন নিঃসরণ বাড়ায় ও মন ভাল রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও পছন্দসই কাজ (নাচ বা হাঁটা) বেছে নিতে পারেন। এতে করে উৎফুল্ল থাকা যায়।
৩. মানসিক ধ্যান (মেডিটেশন)
মেডিটেশন মস্তিষ্কের কাঠামো উন্নত করে এবং মানসিক প্রশান্তি আনে। এ অভ্যাসটি আপনাকে মানসিক প্রশান্তির পাশাপাশি জীবনে এনে দেবে শৃঙ্খলা। প্রতিদিন মাত্র ৫ মিনিট মানসিক ধ্যান (মেডিটেশন) আপনাকে করে তুলবে চাপমুক্ত।
৪. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন
বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে ঘুম নিয়ে এক ধরনের অনীহা লক্ষ্য করা যায়। যা শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। ঘুম মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দেয় ও মনের আবর্জনা দূর করে। তাই নিয়মিত ঘুমের রুটিন বজায় রাখুন।
৫. সামাজিক সংযোগ বজায় রাখুন
বর্তমানে আমরা সামাজিকতা শব্দটিই যেনো এড়িয়ে যাই। প্রিয়জনের সাথে সময় কাটানোও এখন প্রায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নির্ভর। এখান থেকে বেরিয়ে আসুন। বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। মানবিক সম্পর্ক আমাদের আবেগীয় তথা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য।
৬. নতুন কিছু শিখুন
নতুন দক্ষতা, নতুন কিছু শেখা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। এটি আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। ফলে আমরা এগিয়ে যাওয়ার সাহস পাই। যা আমাদের পরবর্তী জীবন সুখী করে তোলে।
উপরের অভ্যাসগুলো আয়ত্ত করার পাশাপাশি নিজেকে ক্ষমা করুন, ভালোবাসুন এবং নেতিবাচক সমালোচনা এড়িয়ে চলুন। এছাড়াও সময় পেলেই চলে যান প্রকৃতির কাছে। এতে করে মানসিক চাপ যেমন কমবে, তেমনি আপনি হয়ে উঠবেন একজন প্রকৃতি প্রেমী, চাপহীন, সুখী মানুষ।
সূত্র : গ্লোবাল ইংলিশ এডিটিং
আরশি