
ছবি: সংগৃহীত
কলা একটি বারোমাসি ফল। এটি যেমন সহজলভ্য তেমনই অনেক ফলের তুলনায় এতে প্রতিটি পুষ্টি উপাদান থাকে কয়েকগুণ বেশি।
কলায় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, গ্লুকোজ, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন সি, পটাসিয়াম ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান। কাঁচা পাকা দুই ভাবেই কলা খাওয়া যায়।
কাঁচা কলা সাধারণত সবজি বা তরকারি হিসেবে খাওয়া হয়।
১. কাঁচা কলা বা সবুজ্কলায় থাকে প্রচুর পরিমাণে রেজিসট্যান্ট স্টার্চ যা আপনাকে হজমে সহায়তা করে
২. রক্তে ব্লাড স্যুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।
৩. গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকায় ডায়াবেটিক রোগীরাও এটি খেতে পারেন।
৪. কাঁচা কলা আপনার পরিপাকতন্ত্রের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়াগুলোর বিকাশেও সাহায্য করে।
কাঁচা কলা মূলত ডায়রিয়া, পেটের সমস্যা, এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সহ বিভিন্ন রোগের উপশমে সাহায্য করে, বিশেষ করে এটি হজমশক্তি বাড়াতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় বা পথ্য হিসেবে কাঁচা কলা খাওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা। কারণ:
১. ডায়রিয়া ও পেটের সমস্যা: কাঁচা কলায় থাকা এনজাইম ডায়রিয়া এবং পেটের নানা ইনফেকশন দূর করে।
২. কোষ্ঠকাঠিন্য: কাঁচা কলা কোলন থেকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া, জীবাণু এবং ইনফেকশন দূর করে কোলনকে সুস্থ রাখে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
৩. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ: কাঁচা কলায় থাকা খাদ্যতালিকাগত ফাইবার এবং রেজিসট্যান্ট স্টার্চ রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে অবদান রাখে। তবে উচ্চ রক্তচাপ বা কিডনির সমস্যাযুক্ত রোগীদের কাঁচা কলা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
মায়মুনা