
শিশুদের মধ্যে সুশৃঙ্খল জীবনধারা ও ইতিবাচক মানসিকতা গড়ে তুলতে কয়েকটি সহজ ও ছোট অভ্যাস দৈনন্দিন জীবনে অন্তর্ভুক্ত করাই যথেষ্ট হতে পারে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, শিশুরা যদি নিয়মিত কিছু ছোট অভ্যাস পালন করে, তবে তাদের ব্যক্তিত্বে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে এবং আত্মশৃঙ্খলা বৃদ্ধি পাবে।
প্রতিবার খাবারের পর কিছুক্ষণ হাঁটার অভ্যাস করা: খাওয়ার পরে হালকা হাঁটার অভ্যাস হজমে সহায়তা করে এবং শরীরকে সক্রিয় রাখে। এটি আপনার বাচ্চাকে নিয়মানুবর্তিতা ও শারীরিক সচেতনতা শিক্ষায়।
সকালবেলা ২০ মিনিটের জন্যে মৃদু রোদে বসা: সকালের সূর্য ভিটামিন ডি এর অন্যতম প্রাকৃতিক উৎস, যা হাড় মজবুত করে এবং মন ভালো রাখে। এতে প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি হয়।
ঘুমানোর আগে শরীর স্ট্রেচ করা: স্ট্রেচিং শরীরকে শান্ত করে এবং পেশি নমনীয় রাখে। এটি ধৈর্য ও আত্ম-পরিচর্যার অভ্যাস গড়ে তোলে।
টেবিলে একটি টু-ডু লিস্ট রাখা: প্রতিদিনের কাজগুলো লিখে রাখলে ভালো অভ্যাস গড়ে ওঠে এবং এটি সময় ব্যবস্থাপনা শিখাতে সাহায্য করে।
প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা লিখে রাখা: ছোট একটি ডায়েরিতে প্রতিদিনের অভিজ্ঞতা লেখা শিশুদের আত্মপ্রকাশ ও আত্ম-চিন্তায় সহায়ক হয়। এতে তাদের আত্মবিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
প্রতিদিন আয়নার দিকে তাকিয়ে হাসা: আয়নায় নিজের দিকে তাকিয়ে হাসলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে এবং ইতিবাচক মানসিকতা গড়ে ওঠে।
ঠান্ডা পানিতে গোসল করা: ঠান্ডা পানির গোসল শরীর ও মনকে উদ্দীপ্ত করে। এটি কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার মানসিক শক্তি গড়ে তোলে। তবে মনে রাখতে হবে যে, পানি খুব বেশি ঠান্ডা হওয়া উচিত নয়, কারণ অত্যন্ত ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে শিশুরা দ্রুত অসুস্থ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শিশুদের মধ্যে ছোটবেলা থেকেই এসব অভ্যাস গড়ে তোলা হলে তারা ভবিষ্যতে আরও আত্মনির্ভরশীল, আত্মবিশ্বাসী ও শৃঙ্খলাপূর্ণ মানুষে পরিণত হবে।
রবিউল হাসান