
ছবি: সংগৃহীত
সন্তানকে শুধু পড়ালেখা নয়, একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা প্রত্যেক অভিভাবকের দায়িত্ব। একজন দয়ালু ও সহানুভূতিশীল মানুষ হয়ে ওঠার ভিত্তি তৈরি হয় ছোটবেলা থেকেই। গবেষণা বলছে, কিছু ছোট ছোট অভ্যাস সন্তানকে দয়ালু করে তুলতে পারে। নিচে অভিভাবকদের ১০টি কার্যকর কৌশল বা পদ্ধতি তুলে ধরা হলো:
১. নিজেই দয়ার উদাহরণ হন: আপনি যেমন ব্যবহার করবেন, সন্তানও তা শিখবে। অন্যদের প্রতি সদয় ব্যবহার করুন।
২. সহানুভূতির চর্চা শেখান: সন্তানকে বলুন- "তুমি কি বুঝতে পারছো ও কেমন অনুভব করছে?"- এতে তারা অন্যের অনুভূতি বুঝতে শিখবে।
৩. কৃতজ্ঞতা শেখান: ছোট ছোট ভালো কাজ বা উপহার পেলে “ধন্যবাদ” বলতে বলুন। কৃতজ্ঞ মন, দয়ালু মন তৈরি করে।
৪. সাহায্যের সুযোগ দিন: গরিবদের সাহায্য করা, খেলনা দান করা বা পরিবারে কাউকে সাহায্য করা শিখতে দিন।
৫. মনোযোগ দিয়ে শুনতে শেখান: অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা ও বুঝতে শেখান-এটি সহানুভূতির প্রথম ধাপ।
৬. ভদ্রভাবে কথা বলার অভ্যাস গড়ে তুলুন: ভদ্র, নরম ভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে শিশুরা ভালো আচরণ শিখে।
৭. ভালো কাজের প্রশংসা করুন: সন্তান যখন কোনো সদয় কাজ করে, সঙ্গে সঙ্গে তার প্রশংসা করুন। এতে তারা উৎসাহ পায়।
৮. পরিবারের মূল্যবোধ পরিষ্কার করুন: পরিবারে দয়া, শ্রদ্ধা ও সহানুভূতির গুরুত্ব বুঝিয়ে দিন।
৯. নেতিবাচক প্রভাব এড়িয়ে চলুন: টিভি, ফোন বা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নেতিবাচক আচরণ থেকে সন্তানকে দূরে রাখুন।
১০. শান্তভাবে সমস্যা সমাধান শেখান: ঝগড়া নয়, যুক্তি ও বোঝাপড়ার মাধ্যমে সমাধান কীভাবে করতে হয়,তা শেখান।
সন্তানকে দয়ালু মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে বড় কোনো আয়োজনের প্রয়োজন নেই। প্রতিদিনের ছোট ছোট আচরণ, কথাবার্তা আর ভালো অভ্যাসই তাদের হৃদয়ে গেঁথে দেয় মানবিকতা। একজন দয়ালু সন্তান মানেই একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ।
মেহেদী হাসান