
ছবি: সংগৃহীত
আমাদের মানসিক সুস্থতার জন্য যেমন খাবার, বিশ্রাম, ও কাজ প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন আবেগিক সংযোগ ও সহানুভূতিশীল মানুষের উপস্থিতি। কিন্তু এই দ্রুতগতির জীবনে অনেকেই রয়েছেন যাদের জীবনে নেই কোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু বা পরিবারের সদস্য, যাদের উপর তারা ভরসা করতে পারেন। মনোবিজ্ঞান বলছে, দীর্ঘদিন আবেগিকভাবে একা থাকলে মানুষের আচরণে কিছু নির্দিষ্ট অভ্যাস গড়ে ওঠে। নিচে এমনই ৭টি অভ্যাস তুলে ধরা হলো—
১. সব কিছু নিজে সামলানোর প্রবণতা:
এই মানুষরা জীবনের প্রতিটি চ্যালেঞ্জ একাই মোকাবিলা করার চেষ্টা করেন। তাদের কাছে অন্যের সাহায্য চাওয়া দুর্বলতা মনে হয়।
২. অনুভূতি চেপে রাখা:
তাদের মনের কথা বলার মতো কেউ না থাকায়, তারা অনেক আবেগ নিজের মধ্যে চেপে রাখেন, যা দীর্ঘমেয়াদে মানসিক চাপ বাড়াতে পারে।
৩. সম্পর্ক থেকে দূরে থাকা:
আবেগিক সংযোগের ভয় বা অতীতের কষ্টের কারণে তারা সচেতনভাবেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থেকে দূরে থাকেন।
৪. নিজেকে ব্যস্ত রাখার প্রবণতা:
তারা প্রায়ই নিজেকে কাজ বা বিভিন্ন কার্যকলাপে অতিমাত্রায় ব্যস্ত রাখেন, যেন একাকীত্বের চিন্তা মাথায় না আসে।
৫. আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি ও আত্মসমালোচনা:
ঘনিষ্ঠ কারও সাপোর্ট না থাকায় নিজের ভুল বা দুর্বলতাগুলো নিয়ে বেশি ভাবেন, যা আত্মবিশ্বাসে প্রভাব ফেলে।
৬. নতুন মানুষের উপর সহজে ভরসা করতে না পারা:
অনেক সময় তারা নতুন সম্পর্ক তৈরি করতে ভয় পান, ভাবেন কেউ হয়তো আবার কষ্ট দেবে বা ছেড়ে যাবে।
৭. উদ্বেগের মাত্রা বেড়ে যাওয়া:
যেহেতু তাদের পাশে আবেগিকভাবে কেউ থাকে না, তাই ছোটখাটো সমস্যা থেকেও বড় মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়।
ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক মানেই শুধুই ভালো সময় ভাগ করে নেওয়া নয়, বরং কঠিন সময়ে একজনের পাশে অন্যজনের থাকা। কারও যদি জীবনে এমন কেউ না থাকে, তাহলে তার মধ্যে এক ধরণের নিরব যন্ত্রণা তৈরি হয়। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হলে প্রথমেই নিজেকে ভালোবাসতে হবে এবং ধীরে ধীরে বিশ্বস্ত সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।