
ছবি: সংগৃহীত
কাজ ও পারিবারিক জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা পেশাগত সফলতা ও সামগ্রিক মানসিক শান্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফেন্ডারের গ্লোবাল কমিউনিকেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা স্টেজকাল জানান, কীভাবে এই ভারসাম্য বজায় রেখে তিনি তার পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনে সাফল্য অর্জন করেছেন।
সুস্থ ও ভারসাম্যপূর্ণ জীবনযাপনের জন্য নিচের ১১টি কার্যকর পরামর্শ অনুসরণ করা যেতে পারে:
১. অপ্রয়োজনীয় কাজ সীমিত করুন – কাজের সময় সোশ্যাল মিডিয়া বা অপ্রাসঙ্গিক ওয়েব ব্রাউজিং এড়িয়ে চলুন।
২. ‘না’ বলা শিখুন – অতিরিক্ত দায়িত্ব নিতে না পারলে বিনয়ের সঙ্গে না বলুন।
৩. সীমারেখা তৈরি করুন – কাজের সময় শেষ হলে নিজেকে অফ করুন, বাড়িতে অফিসের ইমেইল দেখা এড়িয়ে চলুন।
৪. সময়সূচি ঠিক রাখুন – ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে কাজ ও পরিবারের জন্য আলাদা সময় নির্ধারণ করুন।
৫. প্রয়োজন জানাতে শিখুন – ম্যানেজারের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলুন, প্রয়োজনে কাজের সময় বা দায়িত্বে নমনীয়তা চেয়ে নিন।
৬. মূল্যবোধ নির্ধারণ করুন – কী আপনার জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা বোঝার চেষ্টা করুন এবং সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিন।
৭. কার্যালয়ের বিকল্প সুবিধা খতিয়ে দেখুন – বাসা থেকে কাজের সুযোগ বা নমনীয় সময়সূচি নিয়ে আলোচনা করুন।
৮. ব্যর্থতা মেনে নিন – কখনো কখনো কাজই অগ্রাধিকার পেতে পারে, তবে দ্রুত ভারসাম্যে ফিরে আসুন।
৯. শখে সময় দিন – পড়া, সাইক্লিং বা যেকোনো শখ মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে।
১০. সুস্থ অভ্যাস গড়ে তুলুন – পুষ্টিকর খাবার, পর্যাপ্ত ঘুম এবং শরীরচর্চা মন ও শরীর সুস্থ রাখে।
১১. চাপ কমানোর কৌশল চর্চা করুন – যোগব্যায়াম, ব্যায়াম বা ধ্যান মন শান্ত রাখে ও মানসিক চাপ হ্রাস করে।
এই টিপসগুলো অনুসরণ করে আপনি একটি আরও সুখী, স্বাস্থ্যকর ও সফল জীবনের পথে এগিয়ে যেতে পারেন।
সূত্র: https://www.indeed.com/career-advice/career-development/balance-work-and-family
আবীর