
ছবিঃ সংগৃহীত
জীবনের কিছু বিষয় গোপন রাখাই ভালো — এমনটাই বলছে মনোবিজ্ঞান। ব্যক্তিগত সীমানা, মানসিক স্বাস্থ্যের সুরক্ষা এবং সম্পর্কের সুস্থতা রক্ষায় কিছু বিষয় না বলাই শ্রেয়। নিচে এমন ৭টি বিষয়ের কথা তুলে ধরা হলো, যা গোপন রাখলে আপনি হবেন আরও শান্ত, সুরক্ষিত এবং আত্মবিশ্বাসী।
১. আর্থিক অবস্থা
আপনার আয়, ঋণ বা সঞ্চয় সম্পর্কিত তথ্য অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করলে অপ্রয়োজনীয় চাপ, তুলনা বা বিচার–সমালোচনার শিকার হতে পারেন। এই ধরনের তথ্য গোপন রাখলে অন্যের অযাচিত পরামর্শ বা প্রতারণার ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।
২. ব্যক্তিগত সংগ্রাম
সমস্যার সময় সহায়তা চাওয়া জরুরি, তবে নিজের মানসিক স্বাস্থ্য ও দৈনন্দিন সংগ্রামের সব কিছু সকলের সঙ্গে শেয়ার করা ঠিক নয়।
এতে আপনি অযাচিত মতামত, সহানুভূতির নামে অবজ্ঞা কিংবা মানসিক চাপের মুখে পড়তে পারেন। তাই আবেগিক সুস্থতা বজায় রাখতে নিজস্ব সীমা নির্ধারণ করুন।
৩. সম্পর্কের সমস্যা
দাম্পত্য বা প্রেমের সম্পর্কের সব বিষয় প্রকাশ্যে আনলে সম্মান ও বিশ্বাসে আঘাত লাগতে পারে। কিছু বিষয় শুধু দুইজনের মধ্যে থাকলেই সম্পর্ক হয় আরও দৃঢ় এবং সুস্থ।
৪. ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও লক্ষ্য
নিজের লক্ষ্য ও স্বপ্ন শুরুতেই সবার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হলে অনেক সময় নেতিবাচক মতামত বা বাধার মুখে পড়তে হয়। তাই প্রথমে নীরবে কাজ করে যান, ফলাফল নিজেই কথা বলবে।
৫. পারিবারিক সমস্যা
পরিবারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করলে ভুল বোঝাবুঝি, গুজব বা পারিবারিক সম্মানে আঘাত আসতে পারে। এই ধরনের বিষয় গোপন রাখাই শ্রেয়।
৬. অতীতের ট্রমা বা দুঃখজনক ঘটনা
সবাই আপনার জীবনের দুঃখজনক অধ্যায় জানার উপযুক্ত না। ভুল মানুষের কাছে এসব প্রকাশ করলে তা আপনাকে মানসিকভাবে দুর্বল করে তুলতে পারে। সুতরাং, আত্মিক সুস্থতার জন্য ব্যক্তিগত ইতিহাসের সুরক্ষা জরুরি।
৭. চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য
শারীরিক বা মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য খুবই ব্যক্তিগত। এটি শুধু সেই মানুষদের সঙ্গে ভাগ করুন যারা সত্যিই জানার দরকার রাখে — যেমন ঘনিষ্ঠ পরিবার বা চিকিৎসক। অন্যথায়, অপ্রয়োজনীয় করুণা বা উপদেশে আপনার আত্মবিশ্বাসে আঘাত লাগতে পারে।
নিজেকে ভালোবাসুন, নিজের সীমা নির্ধারণ করুন। সব কিছু শেয়ার করা নয়, কিছু বিষয় নিজের মাঝেই রাখাই জীবনের ভারসাম্য রক্ষার অন্যতম কৌশল।
ইমরান