
ছবি সংগৃহীত
দিল্লির এক রোদ ঝলমলে বাগানে, গত সপ্তাহে বিকেলের নরম রোদে বসে ছিলেন দুই বৃদ্ধা। বয়স তাদের ৯০ ছুঁইছুঁই, তবুও চোখে-মুখে প্রশান্তির দীপ্তি। তাঁদের সঙ্গে কথা বললেই যেন ফিরে যাওয়া যায় ১৯৫০-এর দশকের সেই দিনগুলোতে, যখন তাঁরা সদ্য স্বাধীন ভারতের প্রথম দিকের মহিলা চিকিৎসা শিক্ষার্থী হিসেবে একসাথে পথচলা শুরু করেছিলেন।
এই দুই নারী শুধু চিকিৎসাশাস্ত্রের পথিকৃৎই নন। তাঁরা ছিলেন এক ‘দুষ্টু’ চতুষ্টয়ের সদস্য চার বান্ধবীর বন্ধুত্বের গল্প, যা এক জীবনের সমান দীর্ঘ। এই সপ্তাহে তাঁদের একজন প্রিয় বন্ধুর মৃত্যুতে তাঁরা একত্র হয়েছিলেন স্মরণ অনুষ্ঠানে। শোকের ছায়া থাকলেও, গল্পে-গল্পে উঠে আসে অগণিত মধুর স্মৃতি। যেখানে হাসি, কান্না আর গভীর ভালোবাসা মিলেমিশে এক অপূর্ব বন্ধনের সাক্ষ্য দেয়।
বর্তমান যুগে আমরা যখন ‘ফ্রেন্ডশিপ রিসেশন’ অর্থাৎ বন্ধুত্বের অভাব নিয়ে আলোচনা করি, তখন এই চার বান্ধবীর গল্প আমাদের মনে করিয়ে দেয়: সত্যিকারের বন্ধুত্ব জন্ম নেয় হৃদয়ের মিলনে, টিকে থাকে সহানুভূতির ওপর ভর করে। জীবনের নানা বাঁকে, দূরত্ব, পরিবর্তন বা বয়স, কোনো কিছুই তাদের আলাদা করতে পারেনি।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভালো বন্ধুত্ব মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। একে অপরকে বোঝা, স্মৃতি ভাগ করে নেওয়া এবং পাশে থাকা। এইসবই জীবনের শেষ পর্যায়ে এসেও এক ধরনের আরাম দেয়, যা কোনো ওষুধে পাওয়া যায় না।
আশিক