
ছবি: সংগৃহীত
ক্রিকেটের জীবন্ত কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার তার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মাঠে শান্ত ও স্থির থাকার জন্য পরিচিত ছিলেন। তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে, ক্যারিয়ারের প্রথম ১০-১২ বছর তিনি উদ্বেগের সঙ্গে লড়াই করেছেন এবং ম্যাচের আগের রাতে ঘুমাতে পারতেন না। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে তিনি কিছু অভ্যাস গড়ে তুলেছিলেন যা তাকে মানসিকভাবে শক্তিশালী হতে সহায়তা করেছে।
নিচে শচীন টেন্ডুলকারের শান্ত থাকার সাতটি অভ্যাস তুলে ধরা হলো:
-
মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণ: শচীন বিশ্বাস করতেন যে শারীরিক প্রস্তুতির পাশাপাশি মানসিক প্রস্তুতিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। তিনি ম্যাচের আগে মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করতেন, যা তার উদ্বেগ কমাতে সহায়তা করত।
-
নিয়মিত রুটিন অনুসরণ: ম্যাচের আগের দিন ব্যাগ গুছানো থেকে শুরু করে নির্দিষ্ট রুটিন অনুসরণ করা তার অভ্যাস ছিল। এটি তাকে নিয়ন্ত্রণের অনুভূতি দিত এবং উদ্বেগ কমাত।
-
উদ্বেগকে স্বীকার করা: তিনি উপলব্ধি করেছিলেন যে উদ্বেগ তার প্রস্তুতির একটি অংশ। এটি স্বীকার করে তিনি উদ্বেগকে মোকাবিলা করতে সক্ষম হন।
-
মনোযোগ সরানোর কৌশল: উদ্বেগ কমাতে তিনি শ্যাডো ব্যাটিং, টিভি দেখা বা ভিডিও গেম খেলার মতো কাজ করতেন, যা তার মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে দিত।
-
শ্বাস নিয়ন্ত্রণ: গভীর ও নিয়ন্ত্রিত শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে তিনি নিজেকে স্থির রাখতেন, যা চাপের মুহূর্তে তাকে শান্ত থাকতে সহায়তা করত।
-
আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য: নিজের দক্ষতার প্রতি বিশ্বাস রাখা এবং ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা তার অভ্যাস ছিল, যা তাকে চাপের মধ্যে স্থির থাকতে সহায়তা করত।
-
সমর্থন ব্যবস্থার উপর নির্ভরতা: পরিবার, বন্ধু ও মেন্টরদের সঙ্গে সংযুক্ত থেকে তিনি মানসিক সমর্থন পেতেন, যা তার উদ্বেগ কমাতে সহায়তা করত।
শচীন টেন্ডুলকারের এই অভ্যাসগুলো আমাদের শেখায় যে, উদ্বেগ ও চাপ মোকাবিলায় মানসিক প্রস্তুতি, রুটিন অনুসরণ, উদ্বেগকে স্বীকার করা এবং সমর্থন ব্যবস্থার উপর নির্ভরতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
কানন