
ছবি সংগৃহীত
ঈদুল ফিতর মানেই সাজগোজের উৎসব, আর মেহেদি ছাড়া ঈদের সাজ যেন অপূর্ণ থেকে যায়। হাতভর্তি রঙিন নকশার মেহেদি নারীদের ঈদ আনন্দ আরও বাড়িয়ে তোলে। তবে সৌন্দর্যের পাশাপাশি ত্বকের সুস্থতার দিকেও নজর দেওয়া জরুরি।
নিম্নমানের কিংবা কেমিক্যালযুক্ত মেহেদি ব্যবহারের ফলে ত্বকে জ্বলন, চুলকানি, এমনকি মারাত্মক অ্যালার্জির মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। তাই মেহেদি ব্যবহারের সময় কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি।
মেহেদি ব্যবহারে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন:
খাঁটি মেহেদি ব্যবহার করুন: বাজারে রাসায়নিকযুক্ত কন মেহেদি সহজলভ্য হলেও এগুলো ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই খাঁটি প্রাকৃতিক মেহেদি ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভালো।
অ্যালার্জি পরীক্ষা করুন: মেহেদি লাগানোর আগে হাতে ছোট্ট একটি অংশে টেস্ট করে নিন। যদি চুলকানি বা জ্বালাপোড়া হয়, তাহলে ওই মেহেদি ব্যবহার করবেন না।
কৃত্রিম রং এড়িয়ে চলুন: অনেক কন মেহেদিতে রাসায়নিক রং মেশানো থাকে, যা দ্রুত রং গাঢ় করতে সাহায্য করে। তবে এসব কেমিক্যাল ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।
মেহেদি লাগানোর আগে হাত পরিষ্কার করুন: ত্বকের উপর অতিরিক্ত ময়লা বা তেল থাকলে মেহেদি ভালোভাবে বসে না। তাই মেহেদি লাগানোর আগে হাত ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
মেহেদি শুকানোর জন্য ধৈর্য ধরুন: অনেকেই দ্রুত রং বসানোর জন্য হাত গরম করে বা কৃত্রিম উপায়ে মেহেদি শুকানোর চেষ্টা করেন। এটি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। প্রাকৃতিকভাবেই মেহেদি শুকাতে দিন।
লেবু ও চিনির মিশ্রণ ব্যবহার করুন: মেহেদির রং আরও দীর্ঘস্থায়ী করতে লেবু ও চিনি মিশ্রিত পানি তুলার সাহায্যে মেহেদির উপর হালকাভাবে লাগিয়ে নিতে পারেন।
কৃত্রিম কালো মেহেদি এড়িয়ে চলুন: কালো মেহেদিতে ‘প্যারাফেনাইলেনডায়ামিন (PPD)’ নামে এক ধরনের রাসায়নিক থাকে, যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এটি ত্বকে জ্বালা-পোড়া, অ্যালার্জি এমনকি ফুসকুড়ির কারণ হতে পারে।
মেহেদি ধোয়ার আগে অপেক্ষা করুন: দীর্ঘস্থায়ী রঙের জন্য অন্তত ৬-৮ ঘণ্টা মেহেদি হাতে রাখুন। ধোয়ার জন্য সাবানের পরিবর্তে সাধারণ পানি ব্যবহার করুন।
আশিক