
ছবি: সংগৃহীত
গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে এসি (এয়ার কন্ডিশনার) আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে। দীর্ঘ সময় ধরে এসির ব্যবহার আমাদের আরামদায়ক রাখলেও, অতিরিক্ত ও অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে কিছু ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। তাই এসি ব্যবহারের সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।
এসির অতিরিক্ত ব্যবহারে ঝুঁকি
১. স্বাস্থ্য ঝুঁকি: দীর্ঘক্ষণ এসির ঠান্ডা বাতাসে থাকার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে, শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং ঠান্ডা-কাশির সমস্যা বাড়তে পারে।
২. ইলেকট্রিক্যাল ওভারলোড: অতিরিক্ত সময় ধরে এসি চালালে বৈদ্যুতিক ওভারলোডের কারণে শর্ট সার্কিট বা অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
৩. বায়ুর গুণগত মানের অবনতি: এসি নিয়মিত পরিষ্কার না করলে এতে ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাস জমে, যা বাতাসকে দূষিত করতে পারে এবং অ্যালার্জির সমস্যা বাড়ায়।
৪. বিদ্যুৎ বিল বৃদ্ধি: অতিরিক্ত এসি ব্যবহারের ফলে বিদ্যুৎ বিল অনেক বেশি হতে পারে, যা আর্থিকভাবে চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
দুর্ঘটনা এড়াতে করণীয়
* নিয়ন্ত্রিত সময়ে এসি চালান: দীর্ঘ সময় এসি চালিয়ে না রেখে মাঝে মাঝে বন্ধ করে দিন এবং প্রাকৃতিক বাতাস প্রবাহিত হতে দিন।
* নিয়মিত পরিষ্কার করুন: প্রতি মাসে এসির ফিল্টার পরিষ্কার করা উচিত যাতে দূষিত বাতাসের সংস্পর্শে না আসতে হয়।
* তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করুন: এসির তাপমাত্রা ২৪-২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখলে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় থাকে।
* সঠিক বৈদ্যুতিক সংযোগ নিশ্চিত করুন: এসি ব্যবহারের সময় বৈদ্যুতিক ওয়্যারিং ও সার্কিট ব্রেকার ঠিক আছে কি না, তা নিশ্চিত করুন।
* বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করুন: শুধুমাত্র এসির উপর নির্ভর না করে ফ্যান, বাতাস চলাচলের পথ খোলা রাখা এবং পর্দার ব্যবহার করে ঘর ঠান্ডা রাখার ব্যবস্থা করুন।
এসির ব্যবহার আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশ হলেও, এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করলেই আমরা অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে পারব এবং আরামদায়ক জীবনযাপন করতে পারব।
আসিফ