
ছবি: সংগৃহীত
বলিউড অভিনেতা জন আব্রাহাম শুধুমাত্র অভিনয়ের জন্য নয়, ফিটনেসের জন্যও বেশ জনপ্রিয়। তার চেহারা ও শারীরিক সক্ষমতা বছরের পর বছর ধরে একই রকম ধরে রাখার পেছনে রয়েছে কঠোর পরিশ্রম ও নিয়মিত অনুশীলন। সম্প্রতি The Hollywood Reporter-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি মূলত নাস্তিক। তবে আমার শরীরই আমার মন্দির, এটিকে ভালোভাবে গড়ে তোলাই আমার ধর্ম।”
জন জানান, তিনি কখনো শরীরচর্চা করা থেকে বিরত থাকেন না, এমনকি মাথাব্যথা বা শারীরিক ক্লান্তি থাকলেও হালকা ব্যায়াম চালিয়ে যান। তার মতে, প্রতিদিন ব্যায়াম করাটা কেবল সৌন্দর্য বা ছয়-প্যাক বানানোর জন্য নয়, বরং এটি জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। তার মতোই অনেকের কাছে ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ নিয়মিত নিঃশ্বাস নেওয়ার মতো স্বাভাবিক ব্যাপার।
নিয়মিত শরীরচর্চার দীর্ঘমেয়াদি উপকারিতা
ফিটনেস প্রশিক্ষক ও The Body Science Academy, Noida-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা বরুণ রতন বলেন, টানা ৩৫ বছর ধরে শরীরচর্চা চালিয়ে যাওয়া অসাধারণ শৃঙ্খলা ও দৃঢ় সংকল্পের পরিচায়ক। এটি ব্যক্তির কর্মজীবন, সম্পর্ক ও ব্যক্তিগত লক্ষ্য অর্জনেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
শারীরিক উপকারিতা:
পেশিশক্তি ও সহনশীলতা বৃদ্ধি: নিয়মিত ব্যায়াম পেশির শক্তি ও স্থায়িত্ব বাড়ায়, যা বার্ধক্যজনিত দুর্বলতা প্রতিরোধ করে। হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি: ওজন বহনকারী ব্যায়াম (যেমন: স্কোয়াট, ডেডলিফট) হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়, অস্টিওপোরোসিস ও ভাঙনের ঝুঁকি কমায়। হৃদরোগ প্রতিরোধ: নিয়মিত ব্যায়াম রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। ওজন নিয়ন্ত্রণ: অতিরিক্ত চর্বি জমতে না দিয়ে শরীরের আদর্শ ওজন ধরে রাখতে সাহায্য করে।
মানসিক ও আবেগগত উপকারিতা:
স্ট্রেস ও উদ্বেগ কমায়: নিয়মিত শরীরচর্চা মস্তিষ্কে এন্ডরফিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ায়, যা মানসিক চাপ কমায় ও মন ভালো রাখে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়ায়: দীর্ঘ সময় ধরে শরীরচর্চা করলে শারীরিক গঠন উন্নত হয়, যা আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। মোটিভেশন ও শৃঙ্খলা তৈরি হয়: প্রতিদিন শরীরচর্চা করার মানসিকতা জীবনের অন্যান্য ক্ষেত্রেও শৃঙ্খলা আনতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন শরীরচর্চা করলেও ভারসাম্য রাখা জরুরি
যারা সপ্তাহে ৭ দিন ব্যায়াম করেন, তাদের জন্য প্রতিদিন ভারী ও কঠিন অনুশীলন না করাটাও গুরুত্বপূর্ণ। বরুণ রতন বলেন, “কখনো কখনো শুধুমাত্র স্ট্রেচিং, হালকা কার্ডিও বা মোবিলিটি এক্সারসাইজ করাই যথেষ্ট।” এটি দীর্ঘ সময় ধরে শরীরচর্চার অভ্যাস ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত ক্লান্তি ও চোটের ঝুঁকি কমায়।
আসিফ