
ছবি: সংগৃহীত
সাধারণ দৈনন্দিন কিছু অভ্যাস আমাদের মানসিক চাপ কমাতে এবং মেজাজ ফুরফুরে রাখতে সাহায্য করে। সুখ মানুষের জীবনে এমন এক অমূল্য অনুষঙ্গ, যা লক্ষ-কোটি টাকা দিয়েও কেনা সম্ভব নয়। মানসিক চাপ কমিয়ে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে পারলে সুখলাভ খুব সহজ হয়ে যায়।
চলুন জেনে নিই এমন কিছু সাধারণ অভ্যাস সম্পর্কে, যেগুলো প্রতিদিন চর্চা করলে মানসিক চাপমুক্ত থেকে সুখী জীবন গড়ে তোলা অনেকটা সহজ হবে-
১. নিজেকে গুরুত্ব দেওয়া
জীবনযাত্রা উন্নত করার জন্য এটি একটি চমৎকার উপায়। নিজের প্রতি গুরুত্ব প্রকাশে তিনটি ইতিবাচক বিষয় আপনার ডায়েরিতে লিখুন- ভালো খাবার, চমৎকার দিন, এবং প্রাণখোলা হাসি। এছাড়া, অন্যের ভালো কাজের প্রশংসা করেও নিজের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখা যায়।
২. সামাজিক সম্পর্ককে অগ্রাধিকার
সুখী থাকার জন্য সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গবেষণা বলছে, মানুষের সাথে সম্পর্ক গভীর হলে অক্সিটোসিন হরমোনের উৎপাদন বাড়ে, যা মনের শান্তি এবং মুড ভালো রাখতে সাহায্য করে। বন্ধুদের সাথে কথা বলা, পরিবারের সাথে সময় কাটানো এবং আত্মীয়-স্বজনকে সময় দেওয়া- এসব কাজ আমাদের মন-মেজাজ ভালো রাখে।
৩. শরীরচর্চা
শারীরিক কার্যকলাপ মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। শরীরচর্চা দেহে সুখী হরমোনের উৎপাদন বাড়ায়। ১০ মিনিট হাঁটার পরেই আপনি অবসাদ ও মানসিক চাপের পার্থক্য অনুভব করতে পারবেন।
৪. পর্যাপ্ত ঘুম
পর্যাপ্ত ও ভালো ঘুম মনোরঞ্জনে সাহায্য করে। যারা দৈনিক ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমান, তারা অনেক কম মানসিক চাপ অনুভব করেন এবং মুড নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন। তাই প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়মতো ঘুমানোর রুটিন তৈরি করুন, মোবাইল ফোনের স্ক্রিন টাইম কমান এবং বেশি রাত না জেগে সময়মতো ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস করুন।
৫. সহানুভূতিশীল হওয়া
অন্যের বিপদে বা যেকোনো প্রয়োজনে সাহায্য করার মাধ্যমেও নিজের মুড ভালো রাখা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, দয়া, সাহায্য এবং সহানুভূতি মানুষের মধ্যে সুখ হরমোনের উৎপাদন বাড়ায়। তাই ছোট ছোট কাজ, যেমন- কারো প্রশংসা বা সাহায্য করা, কারো বিপদে সহানুভূতি প্রকাশ বা ব্যথিত হওয়া আপনাকেও সুখী করবে।
৬. মনোযোগী হওয়া (Mindfulness চর্চা)
এটি এমন এক কার্যকলাপ যা আপনাকে বর্তমান মুহূর্তে থাকতে সাহায্য করে এবং মানসিক শান্তি প্রদান করে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস, খাবারের প্রতিটি কামড় ধীরে ধীরে খাওয়া, সূর্যাস্ত দেখা- এসব কাজ মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করতে পারে, যা সুখ এবং প্রশান্তির অনুভূতি দেয়।
৭. নিজের পছন্দের কাজ করা
অবসরে অলস বসে না থেকে যে কাজগুলো আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বা আপনার খুব পছন্দের, সেগুলো করুন। যেমন- পেইন্টিং, লেখালেখি, বাগান করা বা অন্য কোনো সৃজনশীল কাজ আপনার মনে শান্তি আনবে, আপনাকে সুখের অনুভূতি দেবে।
সূত্র: এবিপি লাইভ
রাকিব