
ছবিঃ সংগৃহীত
সঠিক শব্দ প্রতিদিন ব্যবহারের মাধ্যমে শিশুর ব্যক্তিত্ব গঠিত হয় এবং তার মধ্যে দয়ার অনুভূতি সৃষ্টি হয়। সহজ কিন্তু মহৎ শব্দগুলো শিশুকে সহমর্মিতা, সম্মান, ও কৃতজ্ঞতা শেখায়, যা ইতিবাচক সম্পর্ক গঠনে সহায়ক এবং তাদের হৃদয়কে দয়ালু করে তোলে।
দয়া শেখাতে যে ১০টি শব্দ প্রতিদিন ব্যবহার করা উচিত:
🔹 দয়া করে – "দয়া করে" বলা শেখালে শিশু শিষ্টাচার, সম্মান, এবং অন্যদের অনুভূতির প্রতি যত্নশীল হওয়ার শিক্ষা পায়, যা তাদের দৈনন্দিন আচরণে সহমর্মিতা ও সদয় মনোভাব গড়ে তোলে।
🔹 দুঃখিত – আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাওয়া শিশুকে দায়িত্বশীল হতে শেখায় এবং তাদের কর্মের প্রভাব বুঝতে সাহায্য করে, যা সহমর্মিতা ও আবেগিক বুদ্ধিমত্তা বাড়ায়।
🔹 মাফ করবেন – "মাফ করবেন" বলা শেখালে শিশু ধৈর্য ও ব্যক্তিগত পরিসরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে শেখে, যা তাদের ভদ্র ও মার্জিত আচরণ গড়ে তোলে।
🔹 আপনাকে ধন্যবাদ – "আপনাকে ধন্যবাদ" বলা শিশুর মধ্যে কৃতজ্ঞতার অনুভূতি তৈরি করে, যা তাদের বিনয়ী ও সদয় করে তোলে এবং আন্তরিক সম্পর্ক গড়তে সাহায্য করে।
🔹 স্বাগতম – "স্বাগতম" বলা শিশুকে শিষ্টাচার শেখায় এবং উষ্ণতা, সদয়তা ও পারস্পরিক স্বীকৃতির মাধ্যমে সম্পর্ক মজবুত করতে সহায়তা করে।
🔹 দয়া – বারবার দয়ার গুরুত্ব বোঝালে শিশু বুঝতে শেখে যে যে কোনো পরিস্থিতিতে নম্র, যত্নশীল ও সহানুভূতিশীল হওয়া জরুরি।
🔹 সাহায্য – শিশুদের অন্যকে সাহায্য করা এবং সাহায্য চাওয়ার গুরুত্ব শেখালে তারা পারস্পরিক সহযোগিতা ও দলবদ্ধভাবে কাজ করার মানসিকতা অর্জন করে।
🔹 ভাগ করা – শিশুকে ভাগ করা শেখালে তারা উদারতা ও সহানুভূতির গুণ অর্জন করে, যা তাদের সুন্দর সম্পর্ক তৈরি করতে ও সমাজে একাত্মতা অনুভব করতে সাহায্য করে।
🔹 সম্মান – সম্মানের গুরুত্ব বোঝালে শিশু অন্যদের মতামত, সীমাবদ্ধতা ও চিন্তাভাবনাকে সম্মান করতে শেখে, যা তাদের মধ্যে সম্প্রীতি ও সহনশীল মনোভাব গড়ে তোলে।
🔹 ভালোবাসা – ভালোবাসার অভিব্যক্তি শিশুকে নিরাপদ ও আত্মবিশ্বাসী করে তোলে, যা তাদের অন্যদের প্রতি দয়া ও উষ্ণতা প্রদর্শনে উৎসাহিত করে।
এই ১০টি শব্দ প্রতিদিন ব্যবহার করলে শিশুরা সহমর্মী, বিনয়ী এবং দয়ালু মানুষ হয়ে উঠবে, যা তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক ও সমাজের প্রতি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
ইমরান