
ছবি: সংগৃহীত।
বর্তমান ব্যস্ত জীবনযাত্রা, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও শারীরিক পরিশ্রমের অভাবের ফলে অনেকেই ফ্যাটি লিভার বা লিভারে চর্বি জমার সমস্যায় ভুগছেন। এটি একসময় শুধুমাত্র অ্যালকোহলিক লিভার ডিজিজের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল, তবে এখন অ্যালকোহল না খেলেও অনেকে এই সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন। কিন্তু ফ্যাটি লিভার কি আসলেই ভয় পাওয়ার মতো কিছু? নাকি এটি সাধারণভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব? চলুন জেনে নিই বিস্তারিত।
ফ্যাটি লিভার কী?
ফ্যাটি লিভার হলো এমন একটি অবস্থা, যেখানে লিভারের কোষে অতিরিক্ত চর্বি জমা হয়। সাধারণত, লিভারে ৫% এর বেশি চর্বি জমলে একে ফ্যাটি লিভার বলা হয়। এটি দুই ধরনের হতে পারে—
১. নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (NAFLD): এটি মূলত অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাসের কারণে হয়।
2. অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (AFLD): অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণের ফলে হয়।
এর কারণ ও ঝুঁকি
- বেশি ফাস্ট ফুড, চর্বিযুক্ত খাবার ও মিষ্টিজাতীয় খাবার গ্রহণ
- শারীরিক পরিশ্রমের অভাব
- ওজন বৃদ্ধি ও স্থূলতা
- টাইপ-২ ডায়াবেটিস ও ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স
- উচ্চ কোলেস্টেরল ও উচ্চ রক্তচাপ
ফ্যাটি লিভার কতটা ভয়ংকর?
প্রাথমিক পর্যায়ে ফ্যাটি লিভার তেমন গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি না করলেও এটি অবহেলা করলে লিভার সিরোসিস, হেপাটাইটিস বা লিভার ফেইলিওরের মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তবে সময়মতো সচেতন হলে এবং সঠিক লাইফস্টাইল মেনে চললে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
প্রতিরোধ ও করণীয়
- চিনি ও ফাস্ট ফুড কমিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
- নিয়মিত ব্যায়াম ও ওজন নিয়ন্ত্রণ
- পর্যাপ্ত পানি পান
- ধূমপান ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা
- পর্যাপ্ত ঘুম ও স্ট্রেস কমানো
ফ্যাটি লিভার সমস্যাকে অবহেলা না করে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনলে সুস্থ থাকা সম্ভব। তাই সময় থাকতেই সচেতন হোন, সুস্থ থাকুন!
নুসরাত